মনিরুল ইসলাম: টালিগন্জের আবেদনময়ী অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। কলকাতায় যেমন জনপ্রিয় তেমনি ঢাকাই সিনেমাতেও বেশ পরিচিত মুখ।
শনিবার বিকেলের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকায় এসেছেন। যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ‘স্পর্শ’ সিনেমা নিয়ে সন্ধ্যায় নিকেতনস্থ ফিল্মক্লাবে প্রেস মিটে মুখোমুখি হন ঋতুপর্ণা। কথা বলেন ছবিটি নিয়ে। কথা বলেন ঢাকাই চলচ্চিত্রে তার অভিনয় প্রসঙ্গে।
তিনি বলেন, আমিব ঢাকার অধিকাংশ নায়কের সাথে অভিনয় করেছি৷ শুধু নায়ক শাকিব খানের সাথে অভিনয় করা হয়নি৷ কথা হয়েছিলো শেষমেষ আর এগুইনি। আমি সর্বশেষ অভিনয় করেছি আরেফিন শুভ এর সাথে। এবার করছি নিরবের সাথে।
তিনি প্রয়াত নায়ক মান্নার কথা উল্লেখ করে বলেন তার পরিবারের সাথে আমার ভালো রিলেশন। শেলি মান্নার সাথে আমার যোগাযোগ রয়েছে। নায়ক ফেরদৌস আমার একজন ভালো বন্ধু।
শাকিব খানের সাথে নায়িকা হয়ে অভিনয় করেছেন কলকাতার মেয়ে ইধিকা পাল। প্রিয়তমা ছবিটি ঈদে মুক্তি পেয়েছে। সুপারডুপার ব্যবসা করছে। তিনি সিরিয়ালের একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী। এই ইধিকা পালকে আপনি চিনেন কি না এই সংত্রুান্ত এক প্রশ্নের জবাবে ঋতুপর্ণা বলেন, আমার সাথে ইধিকা পালের কোন আলোচনা নেই। আমি তাকে চিনি না৷ আমি সব সিরিয়াল দেখার সময় পায় না।
প্রেস মিটে উপস্থিত ছিলেন নায়ক নিরব, আরিয়ানা জামান। পরিচালক অনন্য মামুন।
স্পর্শ’ সিনেমাটি যৌথভাবে নির্মাণ করছেন বাংলাদেশের অনন্য মামুন ও ভারতের অভিনন্দন দত্ত। বাংলাদেশের ‘অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্ট’ ও কলকাতার ‘রোল ক্যামেরা অ্যাকশন’ প্রযোজনা করছে। ঋতুপর্ণার পাশাপাশি ‘স্পর্শ’ সিনেমায় আরও অভিনয় করছেন কলকাতার খরাজ মুখার্জি।
ঋতুপর্ণা জানান, তিনি ৪/৫ দিন বাংলাদেশে থাকছেন। রোববার শুটিং করবেন ঢাকায় যমুনা ফিউচার পার্কে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ছবিতে এখন নিয়মিত হবেন। জানান তার অভিনীত ৩/৪ টি হিন্দি ছবি শিগগিরই মুক্তি পাবে।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৫ সালে‘শ্বেতপাথরের থালা’সিনেমার মাধ্যমে রূপালি পর্দায় ঋতুপর্ণার অভিষেক ঘটে। এ সিনেমায় সহ-অভিনেত্রীর চরিত্রে কাজ করেন তিনি। প্রভাত রায়ের এ সিনেমা ওই বছর শ্রেষ্ঠ বাংলা চলচ্চিত্র হিসেবে ভারতের জাতীয় পুরস্কার লাভ করে।এরপর ‘সুজন সখী’, ‘নাগপঞ্চমী’, ‘মনের মানুষ’ ও ‘সংসার সংগ্রাম’ সিনেমার মাধ্যমে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন ঋতুপর্ণা।
ঋতুপর্ণ ঘোষের ‘দহন’ (১৯৯৭) ‘উৎসব’ (২০০০), অপর্ণা সেনের ‘পারমিতার একদিন’ (২০০০) ও বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের ‘মন্দ মেয়ের উপাখ্যান’ (২০০২) সিনেমাতে তার অভিনয় বোদ্ধা মহলের প্রশংসা অর্জন করে। এছাড়া ‘দহন’ সিনেমাতে ধর্ষণের শিকার এক নববিবাহিতার চরিত্রে অভিনয় করে ১৯৯৮ সালে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেন।
বাংলাদেশে ‘সাগরিকা’, ‘স্বামী ছিনতাই’, জুম্মন কসাই, ‘রাঙা বউ’, ‘একটি সিনেমার গল্প’সহ বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেছেন ঋতুপর্ণা।