অন্তর্বর্তী সরকারের বিমান ও পর্যটন এবং ভূমি উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফের মৃত্যুর খবর শুনে দেশে ফিরেই তাকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে গেলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকালে একটি বিমানে দুবাই থেকে ঢাকায় আসেন ড. ইউনূস। এ সময় হাসান আরিফের মৃত্যুর খবর পেয়ে তাকে দেখতে সঙ্গে সঙ্গে ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে ছুটে যান তিনি।
এর আগে শুক্রবার বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে রাজধানী ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান উপদেষ্টা হাসান আরিফ।
এদিকে শোকবার্তায় অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, শোক বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তার (হাসান আরিফ) আকস্মিক মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। উপদেষ্টা হাসান আরিফ একজন শীর্ষ আইনজীবী ছিলেন, যিনি অন্তর্বর্তী সরকারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।’
১৯৪১ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন এ এফ এম হাসান আরিফ। সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ কলকাতা থেকে তার মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং এলএলবি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। কর্মজীবনে তিনি ১৯৬৭ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন। এরপর ঢাকায় এসে বাংলাদেশ হাইকোর্টে কাজ শুরু করেন।
এ এফ এম হাসান আরিফ বাংলাদেশের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল। ২০০১ সালের অক্টোবর থেকে ২০০৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত এ পদে ছিলেন তিনি। ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ভূমি এবং ধর্ম মন্ত্রণালয় বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়াও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পরামর্শ, নির্মাণ সালিশ, বাণিজ্যিক সালিশ, অর্থ, ব্যাংকিং এবং সিকিউরিটিজ বিষয়, করপোরেট, বাণিজ্যিক ও ট্যাক্সেশন বিষয়, সাংবিধানিক আইন বিষয়, আরবিট্রেশন এবং বিকল্প বিরোধ সমাধানের অন্যান্য পদ্ধতি নিয়ে কাজ করেছেন।