মনিরুল ইসলাম: ঢাকাই সিনেমার প্রবীণ নৃত্য পরিচালক মাসুম বাবুল। শাবানা থেকে শাবনূর, নানা প্রজন্মের নায়িকারাই পর্দায় ঝড় তুলেছেন তার নির্দেশনার নাচের মুদ্রায়।
তবে মাসুম বাবুল এখন আর সিনেমায় কাজ করেন না। ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে বাসায় একান্ত সময় কাটাচ্ছেন। ঔষধ আর নিয়ম নীতির কড়া শাসনে কাটে তার সময়। ব্যয়বহুল চিকিৎসা করাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। তাকে অর্থ সাহায্য দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দিনে দিনে তার চিকিৎসা ব্যয় বাড়ছে। তাই অনেকটাই আর্থিক সংকট উপলব্দি করতে হচ্ছে। এমন অবস্থায় তার পাশে দাঁড়িয়েছেন শিল্পপতি কাদির মোল্লা। সম্প্রতি এফডিসিতে মাসুম বাবুলের ছোট ভাই মাসুদের হাতে ৫ লাখ টাকার চেক তুলে দেন কাদির মোল্লার প্রতিনিধি চলচ্চিত্র অভিনেতা সনি রহমান। শিগগিরই আরও ৫ লাখ টাকা দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন, প্রযোজক সমিতির সাবেক সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু, পরিচালক মিজানুর রহমান মিজান, ক্যামেরাম্যান এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মজনু, নৃত্য পরিচালক সাইফুল ইসলাম, অভিনেতা মারুফ আকিব প্রমুখ।
চেক হাতে পেয়ে মাসুম বাবুলের ভাই মাসুদ কাদির মোল্লার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বলেন, জীবনের এই সময়ে এসে আমার ভাই অনেক কষ্ট করছেন। আজ যারা তার পাশে দাঁড়িয়েছেন তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, আমরা কাদির মোল্লার কাছে কৃতজ্ঞ। তিনি আমাদের প্রিয়জন মাসুম বাবুলের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এর আগে তিনি আমাদের এফডিসিতে বিশাল একটি মসজিদ করে দিয়েছেন। তার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। আজ তিনি আসতে পারেননি। নিজেও অসুস্থ। তার জন্য দোয়া করি। আপনারা মাসুম বাবুলের জন্যও দোয়া করবেন।
কাদির মোল্লার পক্ষে অভিনেতা সনি রহমান বলেন, মাসুম বাবুল ভাইয়ের চিকিৎসায় ১০ লাখ টাকা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন কাদির মোল্লা সাহেব। আজ ৫ লাখ টাকার চেক দিয়েছেন। তা হস্তান্তর করা হলো।
উল্লেখ্য, ১৯৯৩ সালে ‘দোলা’ সিনেমার সর্বপ্রথম তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সম্মানিত হন। ২০০৮ সালে ‘কি জাদু করিলা’ সিনেমার জন্য দ্বিতীয়বারের মতো এ পুরস্কার পান। ভারত উপমহাদেশে বিখ্যাত চিত্রপরিচালক শ্যাম বেনেগালের ‘বঙ্গবন্ধু’র বায়োপিকেরও নৃত্য পরিচালনা করেছেন তিনি।