মনিরুল ইসলাম ঃ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড নতুন করে পুনর্গঠিত হয়েছে। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরকৃত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে ১৫ সদস্যের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। প্রেসিডেন্টের আদেশক্রমে সেন্সর বোর্ড পুনর্গঠনের এই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবকে চেয়ারম্যান এবং সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যানকে সদস্য সচিব করে নতুন কমিটি যাত্রা করল। নতুন এই কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন নির্মাতা জাকির হোসেন রাজু, আশফাক নিপুণ, অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ, পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াত, তাসমিয়া আফরিন মৌ (পরিচালক), লেখক নাজিম উদ্দিন, রফিকুল আনোয়ার রাসেল (পরিচালক-প্রযোজক)। এদিকে প্রথমবারের মতো সেন্সর বোর্ডে জায়গা পেয়েও সদস্যপদ ফিরিয়ে দিয়েছেন নির্মাতা আশফাক নিপুণ।
জানা গেছে, সেন্সর বোর্ড নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্কের ঝড় উঠে। আশফাক ২ টি বোর্ডের সদস্য হওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েন আশফাক।।তাকে চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টি বোর্ডেরও সদস্য করা হয়।
অন্যদিকে,অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদকেও সেন্সর বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য করা হয়। এনিয়ে কথা উঠে। তারা ২ জনকে কোন ২ বোর্ডে রাখা হলো। আর যোগ্য লোকটি ছিলো৷ ২ বোর্ডেই রাখতে হবে।
চলচ্চিত্র অঙ্গনেও মিশ্র প্রতিত্রুিয়া শুরু হয়। চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির সাবেক শামসুল আলম বলেন, আমরা এমন সেন্সর বোর্ড চাই না। আমরা সার্টিফিকেশন বোর্ড চাই।
বিশিষ্ট পরিচালক ও পরিচালক সমিতির সাবেক মহাসচিব বদরুল আলম খোকন সামাজিক মাধ্যমে একটি মন্তব্য করন। বলেন সেন্সর বোর্ড চলচ্চিত্র হলেও সব নেওয়া সদস্য করা নাট্যাঙ্গন থেকে। এটা কি ঠিক হয়েছে।
ঢাকাই চলচ্চিত্রের বিশিষ্ট চলচ্চিত্র এডিটর ফজলে হক বলেন, মূলধারার কি কোন গুনী লোক ছিলো না।যারা দলবাজ নন। তিনি তীব্র প্রতিবাদ জানান। বলেন আমরা এমন সেন্সর বোর্ড চাই না।
এদিকে, রোববার রাতেই এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি। এতে নিপুণ লিখেছেন, সেন্সর বোর্ড আগামী কয়েক মাসের ভেতর সেন্সর সার্টিফিকেশন বোর্ডে রূপান্তরিত হবে বলে আমাকে জানিয়েছেন তথ্য মন্ত্রণালয়। আমি আজীবন চলচ্চিত্রে বা শিল্পে সেন্সর বোর্ড প্রথার বিরুদ্ধে।আমি খুবই সম্মানিত বোধ করেছি মন্ত্রণালয় আমাকে বোর্ডের সদস্য হওয়ার যোগ্য মনে করেছিলেন। কিন্তু একটা মিস-কমিউনিকেশন হয়ে গেছে। আমি এই বোর্ডের অফিশিয়াল সদস্যপদ গ্রহণ করিনি। বিনয়ের সাথে ফিরিয়ে দিয়েছি। তথ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এই ব্যাপারে আমার কথা হয়ে গেছে। সবশেষ এই নির্মাতা লেখেন, সেন্সর বোর্ডের বাতিলের পক্ষে আমার অবস্থান সর্বদা চলমান থাকবে। নবগঠিত সেন্সর বোর্ডের বাকি সদস্যরা যারা আমার কলিগ, তাদের সেন্সর বোর্ড বাতিল করে দ্রুত সেন্সর সার্টিফিকেশন বোর্ড বা গ্রেডিং সিস্টেম চালুর পক্ষে আমার শুভকামনা রইল।