ঢাকা : বাংলাদেশের প্রথম সারির কোরিওগ্রাফারদের একজন এডলফ খান। একাধারে ফ্যাশন ডিজাইনার, কোরিওগ্রাফার, মডেল, প্রশিক্ষক ও কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার তিনি। ইতোমধ্যে তাকে অভিনয়েও দেখা গিয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র – জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করে ভারতে যান শেখ হাসিনা। বর্তমানে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন।
ছাত্র-জনতার এই আন্দোলনের সময় বিনোদন জগতের তারকারা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন।আন্দোলনের শুরুতে ছাত্র জনতার পক্ষে-বিপক্ষে অনেক তারকাকে সরব ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়। তবে সাহস নিয়ে রাজপথে নামেন কেউ কেউ। আবার আরেকটি দল হোয়াটসঅ্যাপে গোপন গ্রুপ খুলে ছাত্রদের দমন করার পরামর্শ দেন। তবে স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর নিপীড়িত তারকা ও শিল্পী সমাজ মুখ খুলতে শুরু করেছেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি ফ্যাশন ডিজাইনার এডলফ খান তার ফেসবুক আইডিতে শোবিজ অঙ্গনে কাজ করতে গিয়ে সিন্ডিকেট ও রাজনীতির শিকার হতে হয়েছেন বলে জানান। তাই তুলে ধরেন তার ষ্ট্যাটাসে।
তিনি লিখেন, দীর্ঘদিন ধরে ইন্ডাস্ট্রি তে কাজ করার সুবাদে অধিকাংশ নায়ক নায়িকার সঙ্গেই কাজ করার অভিজ্ঞতা হয়েছে। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ফ্যাশন মডেল বা নায়ক -নায়িকার তালিকাও দীর্ঘ। তবে সব অভিজ্ঞতাই সুন্দর মসৃণ ছিলোনা।
মিডিয়াতে একটি সিন্ডিকেট ছিল। পলিটিক্স ছিল। ছিলো অন্যায় আবদার। ছিলো লোভ , হিংসা , আকাশ সমান অহংকার।
যখন তখন অন্যায় আচরণ , জোরপূর্বক উপহার দাবি , কাজের সম্মানী না দেয়া , অপমান , কূটচাল সবার সাথেই সমান তালে করেছে।
এমন সব অরাজকতা , স্বেচ্ছাচারিতা , নোংরা রাজনীতি , অদৃশ্য ক্ষমতার দাপট , চিন্তাও করা যায়না !
তিনি লিখেন, কখনো মুখ খুলি নি। কারো সম্মান নষ্ট করিনি। কোনো একদিন কোনো এক আগুন ধরানো সাক্ষাৎকারে বলবো। তালিকায় আরো আছে কিছু কাজ করানোর কোরিওগ্রাফার নামধারী সস্তা , মূর্খ , দালাল প্রকৃতির দাসী বাঁদী লোক। আছে কিছু অনলাইন নির্ভর ভাইরাল মুখ , যাদের অহংকারে মাটিতে পা পড়েনা , যারা নিজেরাই নিজেদের সেলিব্রিটি তকমা লাগিয়ে ধান্দা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি লিখেন, যাই হোক , আজ তাদের অনেকেই সম্মানহানির ভয়ে , শাস্তির ভয়ে গা ঢাকা দিয়ে আছে , কেউ ফেসবুকে বিড়াল হয়ে বসে আছে , কেউ নীরবতা ভাঙেনি ,আগের মতো মুখের জোর নাই। কেউ হয়তো আর কাজ নিয়ে দর্শকের কাছে ফিরতেই পারবেনা !
এরপরও যদি বাকিদের আচরণ , ব্যবহার ঠিক না হয় , কিছু করতে গিয়ে সংযত না হয় , শিক্ষা না হয় , তাহলে আর রক্ষা নাই।