ঢাকা : সরকারের তিনটি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও তদোর্ধ পদের কর্মকর্তা এবং মাঠ পর্যায়ের বিভাগীয়
কমিশনার, জেলা প্রশাসক, ডিআইজি, পুলিশ সুপার পদে নিয়োগ, বদলী ও শৃঙ্খলা বিষয়ে পরামর্শ প্রদানের লক্ষ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ হতে তিনটি কমিটি গঠন পূর্বক ৯ জানুয়ারি প্রজ্ঞাপন জারী করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে উক্ত প্রজ্ঞাপন আমাদের গোচরীভুত হয়েছে। প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তাদের নির্বিঘ্নে নির্ভয়ে ও আইনানুগ ভাবে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে এ সিদ্ধান্তটি খুবই সময়োপযোগী হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে এমন একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্যে ফোরামের পক্ষ থেকে ‘সাধুবাদ’ জানাই।
বৈষম্য বিরোধী কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক এ বি এম আব্দুস সাত্তার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই সাধুবাদ জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, পাশাপাশি গঠিত কমিটি সমূহের সদস্যগণ (প্রত্যেক কমিটিতে ০৫ থেক ০৭ জন) সকলে একমত হয়ে পরামর্শ প্রদান
করার ক্ষেত্রে প্রশাসনে সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিলম্ব ঘটিয়ে সরকারের কর্মকান্ডে স্থবিরতা দেখা দেয় কি না সে বিষয়ে সরকারের
সদা সর্তক দৃষ্টি কামনা করছি।
উল্লেখ্য, এরশাদ সরকারের সময়েও কমিটির মাধ্যমে প্রশাসন নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু, তা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। আশু-শঙ্কার কারণ জনপ্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা স্বৈরাচারী সরকারের ৪০/৪২ জন সচিব, শতাধিক
অতিরিক্ত সচিব, কয়েক শত যুগ্ম সচিব ও সমপর্যায়ের কর্মকর্তাকে এখনও অপসারণ/প্রত্যাহার করা হয়নি।
এসব কর্মকর্তারা এখনও বিগত স্বৈরাচারী সরকারের মন্ত্রী/এমপিদের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রক্ষা করে বিভিন্ন অন্তর্ঘাত মূলক কাজ করার পায়তারা করছে। আত্মীয়তাসহ সামাজিক/পারিবারিক বিভিন্ন কারণে কোন সদস্যের দ্বিমতের কারণে স্বৈরাচারের দোসর কোন কর্মকর্তার বদলী/প্রত্যাহার/অপসারণ ইত্যাদি কোন পদক্ষেপ বাধাগ্রস্থ হওয়ার সংশয় আছে।
এমন কোন ঘটনা ঘটলে তা ছাত্র-জনতা আন্দোলনের চেতনার সহিত বিশ্বাস ঘাতকতা করা হবে।
তবে প্রত্যেক মন্ত্রণালয়ে ছাত্র-জনতার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের চেতনায় উদ্বূদ্ধ দক্ষ, কর্মঠ, সৎ, কর্মোদ্যগী কর্মকর্তাদের মন্ত্রণালয়ের সচিব/অতিরিক্ত সচিব/ যুগ্ম সচিব পদে এবং মাঠ পর্যায়ে বিভাগীয় কমিশনার/ডিআইজি ইত্যাদি পদে পদায়ন করার মাধ্যমে একটি দক্ষ কর্মক্ষম প্রশাসন গড়ে তুলে সু-শাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
বিবৃতিতে বলা হয়, এমতাবস্থায়, বিগত স্বৈরাচারী সরকারের দোসরদের অবিলম্বে প্রশাসন হতে প্রত্যাহার/অপসারণ পূর্বক মহোদয়ের
সুবিবেচনা প্রয়োগ করে রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠাকল্পে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্যে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি সবিনয় আহবান জানাচ্ছি।