নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম বলেছেন, পতিত আওয়ামী স্বৈরশাসক দেশের বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। প্রতিবিপ্লবের মাধ্যমে ছাত্রজনতার অর্জন বিনষ্ট করার পায়তারা করছে। এসব ষড়যন্ত্র রূখতে হলে তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে এবং তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যে মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাগ্রত বাংলাদেশ আয়োজিত “তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিতে” এক অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
সালাম বলেন, বর্তমান অম্তবর্তীকালীন সরকার দেশের মানুষের আন্দোলনের ফসল। এই সরকারকে ব্যর্থ করতে দেশ-বিদেশের চক্রান্ত অব্যাহত রয়েছে। এ সরকারের যারাই আছেন তাদের রাষ্ট্র পরিচালনার পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই। এই সুযোগে বিভিন্ন কৃত্রিম ইস্যূ সৃষ্টি করে দেশকে অকার্যকর করার অপচেষ্টা চলছে। তাই যতদ্রুত সম্ভব নির্বাচনের ব্যবস্থা করে রাজনৈতিক দলের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। রাজনৈতিক অস্থিরতা রাজনৈতিক ভাবেই মোকাবিলা করতে হবে।
অবস্থান কর্মসূচি অংশ নিয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা। ষড়যন্ত্র সফল হলে রাজধানী হতো দিল্লি। পালিয়ে যাওয়ার পরে আবারো দেশে প্রবেশের দুঃস্বপ্ন দেখছেন।
তিনি বলেন, নৈতিক সাহস থাকলে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালাতেন না। এখন ভারতে বসে ষড়যন্ত্র করছেন। দেশে ছাত্রলীগ-যুবলীগ দিয়ে বিভিন্ন আন্দোলন করিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির পায়তারা করছেন তিনি।
কর্মসূচিতে সভাপতির বক্তব্যে সাবেক ছাত্রনেতা, আজকের জীবন পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক শফিকুর রহমান বলেন, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে পরিবর্তন এসেছে। তাতে স্বৈরাচার বিদায় হয়েছে, কিন্তু স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা এখনো বহাল আছে। ফলে বিস্ময়ের সাথে আমরা লক্ষ্য করছি যে, তারেক রহমান ছিলেন এই আন্দোলনের মাস্টার মাইন্ড। অথচ তার মামলা প্রত্যাহারের জন্য আমাদের রাজপথে দাঁড়াতে হচ্ছে।
জাগ্রত বাংলাদেশ’র সভাপতি ও দৈনিক খোলাবাজার পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মো. জহিরুল ইসলাম কলিমের সভাপতিত্বে ও জাগ্রত বাংলাদেশ’র সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন শাহীনের পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক এস.এম মিজানুর রহমান, প্রজন্ম একাডেমির সভাপতি লেখক ও গবেষক কালাম ফয়েজী, জাসাস জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. খালেদ এনাম মুন্না, মুক্ত ফোরামের সমন্বয়ক চাষী মামুন, জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম হোসেন, সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ শাহ, সাংবাদিক আসাদুজ্জামান বাবুল, আবুল হোসেন দুলাল, সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক রমিজ উদ্দিন রুমি, ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড. মনিরুল ইসলাম সোহাগ, এস.এম কমর উদ্দিন, মো. কবির হোসেন প্রমুখ।