ঢাকা : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেছেন, আপনাদের ভয় কীসের? আপনারা এখনো হাসিনার দোসরদের কেন ধরছেন না, পদচ্যুত করছেন না, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের বিলুপ্ত করছেন না কেন? এরাই তো খুনি, গুন্ডা- এদের হাত দিয়ে শহীদ হয়েছে আমাদের ছাত্র-জনতা।
মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ অভিযোগ করেন। এতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা রিকশাচালক সাইফুল ইসলামকে নতুন রিকশা প্রদান করে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’। রিকশাটি কিনতে অর্থ সহযোগিতা করেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলম রবি।
তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচারের দোসররা দেশকে অস্থিতিশীল করতে এখনো ষড়যন্ত্র করছে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, পতিত স্বৈরাচারের ষড়যন্ত্রের সুতা এখনো আছে। তার দোসররা একটি করে সুতা পাকাচ্ছে দেশকে অস্থিতিশীল করতে। প্রতিটা রাষ্ট্রীয় সেক্টরে আওয়ামী দোসররা ওত পেতে বসে আছে। দোসররা শুনছে যে, ‘দেশের কাছাকাছি পতিত শেখ হাসিনা আছে, সে ঢুকলে আবার মাথাচাড়া দিয়ে বেরিয়ে পড়বে।’ শেখ হাসিনা চিনতেন না জনগণকে, তিনি ব্যবহার করেছেন পুলিশ-র্যাবকে। এরা যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন, কোনো কাজে আসবে না। জনগণ এই ষড়যন্ত্র রুখে দিবে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার উপহার হচ্ছে-গণতন্ত্রের কথা বললে হাত, পা ভেঙে দেয়া, গুম ও খুনের শিকার হওয়া। শেখ হাসিনার রোষানল-গুম থেকে এমপি, ওয়ার্ড কাউন্সিলর পর্যন্ত কেউ রেহাই পায়নি। এগুলো সব করেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে। এত দুর্নীতি ও লুটপাট করেছেন কাউকে টুঁ-শব্দ পর্যন্ত করতে দেননি। আর শেখ হাসিনা হয়তো জানতেন কোনো দিন তার পালিয়ে যাওয়া লাগতে পারে। তাই তিনি তার কাছের আত্মীয়-স্বজন ও লোকদের দিয়ে টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছেন।
রিজভী বলেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় থাকতে পাশের দেশ ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ সহযোগিতা করেছে। তিনি জনবিচ্ছিন্ন হওয়ায় ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার উপর নির্ভরশীল ছিলেন। তিনি মানতেন তাকে ‘র’ ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখবে। এ জন্য কেউ ভারতের বিরুদ্ধে ‘টু’ শব্দ করলে তার রক্ষা ছিল না।
বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলম রবি প্রমুখ।