রাঙামাটি: রাঙামাটিতে চোখ ধাঁধানো আড়ম্বর আয়োজনের মধ্য দিয়ে সাফজয়ী পাহাড়ের ৫ ফুটবলারকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চিংহ্লমং মারী স্টেডিয়ামে জেলা পরিষদ এবং জেলা প্রশাসন ওই ৫ ফুটবলারকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাফজয়ী পাহাড়ের পাঁচকন্যাকে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে দুই লাখ টাকা, তাদের স্থানীয় কোচ বীরসেন চাকমা এবং শান্তিময় চাকমাকে ৫০ হাজার করে ১ লাখ টাকা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে খেলোয়াড় এবং কোচদের জনপ্রতি ৫০ হাজার টাকা এবং এমপি দীপংকর তালুকদারের পক্ষ থেকে খেলোয়াড় এবং কোচদের জনপ্রতি ৫০ হাজার টাকা উপহার দেওয়া হয়। এছাড়াও সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) এবং জেলা প্রশাসক শুভেচ্ছা উপহার দেয়।
সাফ গেমস ফুটবল টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের অবিস্মরণীয় বিজয়ে পাহাড়ের ৫ নারী খেলোয়াড়ের অবদান ছিল অসামান্য। তাদের মধ্যে ২ জন রাঙামাটির ৩ জন খাগড়াছড়ি জেলার।
এর আগে, সাফজয়ী নারী খেলোয়াড়দের কাউখালী উপজেলার তাদের বিদ্যালয় ঘাগড়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে গাড়ি বহর সাজিয়ে সাড়ম্বরে বরণ করা হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, বিজিবি রাঙামাটির সেক্টর’র সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. তরিকুল ইসলাম, রাঙামাটি সদর জোন কমান্ডার লে.কর্নেল আশিকুর রহমান (পিএসসি), জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এবং রাঙামাটি পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে সাফজয়ী খেলোয়াড়রা রাঙামাটিতে আগমন করে এবং স্থানীয়রা তাদের মশাল জ্বালিয়ে বরণ করে নেয়।
যাদের সংবর্ধনা দেওয়া হলো তারা হলেন- রাঙামাটির নানিয়াচরের ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের ভুইয়ো আদম গ্রামের রুপনা চাকমা সেরা গোল রক্ষক ও কাউখালী উপজেলার মঘাছড়ি ইউনিয়নের ঋতু পর্না চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলার আনাই মগিনি, আনুচিং মগিনি ও মনিকা চাকমা এবং তাদের স্থানীয় ২ জন কোচ বীরসেন চাকমা ও শান্তিময় চাকমাকে পুরস্কৃত করা হয়।