ঢাকা : আওয়ামীলীগের সময়ে আওয়ামীলীগের পিস্তল মনু, কমিশনার মিল্টন ও মাহবুবের হয়ে চাঁদাবাজি ও ময়লার কাজ নিয়ন্ত্রন করতো হাফিজ। সুযোগ বুঝে যুবদলও করেছিলো এক সময়, এক পর্যায় পাড়ি জমায় বিদেশে। ফিরে এসে আওয়ামীলিগের প্রভাব দিয়ে পানির ব্যবসা ও নেটের ব্যবসা চালু করে হাফিজ। যোগ দেয় কেসিনো সম্রাট গ্যাং এ। চাঁদাবাজি ও মাদকের এক বিশাল সম্রাজ্য গড়ে তোলে রেলগেট ও তিলপাপাড়ায়। ৫ আগষ্টের পর পট পরিবর্তন হলে আবার রাতারাতি যুবদলের নেতা বনে যায়। যুবদল পরিচয় দিয়ে হাফিজ খিলগাঁও এর বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি ও মারপিট শুরু করে। আওয়ামীলীগের সময়ের মতন এবারও ময়লার কাজ পায় হাফিজ।
খিলগাঁও তিলপা পাড়ার মাছ বাজার, কালভার্টের ফার্নিচার মার্কেট, রেলগেট স্টেন্ড এবং নির্মাণাধীন বিল্ডিং সমূহে জোর করে চাঁদা আদায় ও মালামাল সরবরাহ করাতো এই চাঁদাবাজ। সর্বশেষ তিলপা পারার বাস স্কুল প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন বর্ধিত করার কাজ শুরু হলে, কাজ পাওয়া ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাছে চাঁদা দাবি করে হাফিজ, চাঁদা না পেয়ে শ্রমিকদেরকে মারধর করে এবং নির্মান সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায় হাফিজ গ্যাং। হাফিজের সাথে আরো ছিল যুবদল পরিচয় দেওয়া ফারুক, হাবিব, ইলিয়াস, জামিল, সুইডেন বাসু, কালু, কামাল, মুরগী মিলন ও কাশেম। দীর্ঘদিন ধরে রামপুরা ও খিলগাঁওবাসী হাফিজের চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমে অতিষ্ঠ। অপরাধ দমনের বিশেষ অভিযানে, খিলগাঁও থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম হাফিজকে অনেক্ষন চেষ্টার পর গতকাল ২৪ মার্চ গ্রেফতার করত সক্ষম হয় খিলগাও তিলপাপাড়া হতে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে হাফিজের সাথে থাকা সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এদিকে, বিএনপির স্থানীয় নেতারা জানান, হাফিজ বিএনপির কেউ নয়, কোন চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীর সাথে বিএনপির কোন সম্পর্ক নেই। খিলগাঁও থানা পুলিশ চাঁদাবাজ হাফিজের গ্রেফতার হওয়ার বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করেন। এবং আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে।