যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আদলে বিতর্কে অংশ নিয়েছেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান পদের তিন প্রার্থী। কেন প্রার্থী হয়েছেন, নির্বাচিত হতে পারলে কী করবেন, ফল মেনে নেবেন কি না– এসব প্রশ্নের জবাব দেন প্রার্থীরা। মঙ্গলবার রাজধানীর বিজয়নগর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ বিতর্ক অনলাইনে সরাসরি সম্প্রচার হয়।
বিতর্কের এই আয়োজনে তিন প্রার্থী দলের অভ্যন্তরীন নির্বাচনকে গণতন্ত্রের পথে অভিযাত্রা আখ্যা দিয়ে, ভোটের পরিবেশে সন্তোষ জানিয়েছেন। ফল যাই হোক, ঐক্য বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা।
এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জাবেদ ইকবালের সঞ্চালনায় বিতর্কে অংশ নেন প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক এ এফ সোলায়মান চৌধুরী, প্রতিষ্ঠাতা সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু ও যুগ্ম আহ্বায়ক কর্ণেল (অব.) দিদারুল আলম। স্বাগত বক্তব্য দেন এবি পার্টির প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. ওয়ারেসুল করিম।
গত ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর ভোটে ৬০ প্রার্থীর ২১ জন এবি পার্টির জাতীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। আগামী শুক্রবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলনে চেয়ারম্যান পদে দুই হাজার ৭০০ কাউন্সিলর ভোট দেবেন।
কেন সভাপতি হতে চান- প্রশ্নে মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, এবি পার্টি চার বছরে নানা তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে। দল গঠনের জন্য সুপরিচিত অনেকের কাছে গিয়েছি। তারা বলতেন ‘নতুন রাজনীতি দরকার’, কিন্তু কেউ যোগ দেননি। সরকারের বাধা, গোয়েন্দা সংস্থার হুমকি, সামাজিক মাধ্যমে বুলিং ছিল। সামনে আরও চ্যালেঞ্জ আসবে। সে কারণেই দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীর অনুরোধে প্রার্থী হয়েছি।
একই প্রশ্নের জবাবে এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী বলেন, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেই দলের আহ্বায়ক পদ ছেড়েছিলাম, যাতে নির্বাচন প্রভাবিত না হয়। এবি পার্টি একক ব্যক্তির দল নয়।
দিদারুল আলম বলেন, রাজনীতিতে নতুন হলেও ফ্যাসিস্ট শাসনামলে ১০ বছর জেল খেটেছি। রাজনীতিতে নতুন হলেও পেশাগত অভিজ্ঞতায় অপর দুই প্রার্থীর চেয়ে অভিজ্ঞতা বেশি, তাই প্রার্থী হয়েছি।
আগামীতে এবি পার্টিকে কীভাবে দেশের প্রধান দলে পরিণত করবেন- এ পরিকল্পনা তুলে ধরে তিন প্রার্থী ভোট প্রার্থনা করেন। তিনজনই বলেন. জয় পরাজয়ে দলের ক্ষতি হবে না, বরং শক্তিশালী হবে।