বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকার বলেছেন, ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ বিপ্লবের মুখে আওয়ামী-বাকশালীদের পতন হলেও তাদের প্রেতাত্মারা এখনো মগবাজারে সক্রিয় রয়েছে। তারা লাগামহীন সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, চাঁদাবাজী, দখলবাজী অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু পতিত স্বৈরাচারিদের এসব অপতৎরতা জনগণ কোন ভাবেই চলতে দেবে। তিনি আগামী ১০ দিনের মধ্যে হাতিরঝিল এলাকায় সকল সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী ও দখলবাজী বন্ধ করে জড়িতদের গ্রেফতার করতে প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান। অন্যথায় সচেতন জনতা ঘরে বসে তামাশা দেখবে না।
তিনি আজ বাদ জুমা রাজধানীর মগবাজারে হাতিরঝিল থানা জামায়াত আয়োজিত সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দখলবাজমুক্ত হাতিরঝিল থানার দাবিতে এবং দেশকে অস্থিতিশীল করতে আওয়ামীলীগের নানামুখী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। হাতিরঝিল পূর্ব থানা আমীর এ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং হাতিরঝিল পশ্চিম থানা আমীর ইউসুফ আলী মোল্লার পরিচালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী মজলিসে শূরা সদস্য নুরুল ইসলাম আকন্দ, রাশেদুল ইসলাম, জামায়াত নেতা গোলাম মাওলা, আকতার হোসেন, ড.আনোয়ারুল হক, ছাত্রশিবির নেতা ফজলুর রহমান, সাজ্জাদ শিহাব,নাদিম প্রমুখ।
আজ বাদ জু’মা বিক্ষোভ মিছিলটি মগবাজার টিএন্ডটি মসজিদ থেকে শুরু হয়ে নয়াটোলা হয়ে মগবাজার মোড়ে এসে সংক্ষিপ্ত পথ সভার পর বিক্ষোভ মিছিলটি ওয়ারলেস রেইল গেইট হয়ে মধুবাগ মাঠ গিয়ে শেষ হয়।
আতাউর রহমান সরকার বলেন, অনেক ত্যাগ ও কোরবানীর মাধ্যমে ১৯৭১ সালে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করলেও আওয়ামী লীগের অপরাজনীতির কারণেই আমরা পুরোপুরি স্বাধীনতার সুফল অর্জন করতে পারেনি। তারা ২০০৮ সালে পাতানো ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় দেশ ও জাতির ঘাড়ে জগদ্দল পাথরের মত চেপে বসেছে। তারা গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস করে দিয়ে দেশকে ফ্যাসীবাদী ও মাফিয়াতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করে। তাদের বিগত প্রায় ১৬ বছরের শাসনামলে দেশকে অপরাধ ও অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত করা হয়েছিল। জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়ে দেশকে একনায়কতান্ত্রিক বাকশালী রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছিল। কিন্তু ছাত্র-জনতার যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের পতন হয়েছে। তাই অর্জিত বিজয়কে অর্থবহ করতে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।