এক নারীকে অপহরণ ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার বিএফইউজে—বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মোল্লা জালাল জামিন পেয়েছেন। ঢাকার ১৩ নম্বর অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক খোরশেদ আলম রোববার এ আদেশ দেন। ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী সোহেল মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ৩ নভেম্বর বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মোল্লা জালাল গ্রেপ্তার হন। সেদিনই তাঁকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হয়। সেদিন মোল্লা জালালের জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়।
উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর সিএমএম আদালতের জামিন নাকচের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবেদন করেন সাংবাদিক মোল্লা জালাল। সেই আবেদনের শুনানি হয়েছে রোববার। আদালত মোল্লা জালালের জামিন মঞ্জুর করেন।
পুলিশ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, এক নারী ১ নভেম্বর মোল্লা জালালের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও অপহরণের অভিযোগে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন।
মামলায় ওই নারী দাবি করেছেন, মোল্লা জালালের সঙ্গে তাঁর ১৭ বছর আগে পরিচয় হয়। দীর্ঘদিন ধরে তাঁকে হয়রানি করে আসছিলেন মোল্লা জালাল। গত ৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ছয়টার দিকে মৎস্য ভবনের সামনে মোল্লা জালালের পূর্বপরিচিত এক লোকের সঙ্গে তাঁর (নারী) কথা-কাটাকাটি হয়। পরে সন্ধ্যা সাতটার দিকে হাইকোর্টের সামনে থেকে তাঁকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নেওয়া হয়।
মামলায় ওই নারী দাবি করেন, অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখে তাঁকে মারধর করা হয় এবং তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। তবে সাংবাদিক নেতা মোল্লা জালালের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে আদালতকে বলা হয়েছে, তিনি নিরপরাধ। হয়রানির উদ্দেশ্যে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। সুত্র: প্রথম আলো
জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্যপদ স্থগিত
এদিকে গত ১৮ নভেম্বর মোল্লা জালালের জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্যপদ স্থগিত করেছে প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষ। জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গণহত্যায় উসকানি দেয়া এবং পতিত সরকারের দোসর হিসেবে কাজ করার দায়ে ওই দিন ৩৭জন সদস্যের পদ স্থগিত করা হয়। তার মধ্যে মোল্লা জালালও রয়েছেন বলে ক্লাব সুত্রে জানা গেছে।