ঢাকা: সাকিব-মোস্তাফিজ আইপিএলে দীর্ঘদিন খেলেছেন। সাকিব ২০২১ সালের পর আর খেলেননি, তবে মোস্তাফিজ এখনো খেলছেন। আগামী আইপিএলে সুযোগ মিলতে পারে বাংলাদেশের অন্য ক্রিকেটারদেরও।
তবে এর জন্য নিলামে তাঁদের কিনতে হবে কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজির। এবারের আইপিএলের নিলামে বাংলাদেশের ১২ জন ক্রিকেটার থাকছেন। আজ নিলামে উঠতে যাওয়া ক্রিকেটারদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ।
নিলামের জন্য নিবন্ধন করেছিলেন ১ হাজার ৫৮৪ ক্রিকেটার। তবে যাচাই-বাছাই করে আজ ৫৭৪ জনের নাম প্রকাশ করেছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ। নিলামে জায়গা না পাওয়া বাংলাদেশের একজনও আছেন। আইপিএলের মেগা নিলাম এবার হচ্ছে জেদ্দায়। ২৪ ও ২৫ নভেম্বর হবে ক্রিকেটার বিকিকিনির সবচেয়ে বড় এ আয়োজন।
আইপিএলে দীর্ঘদিন বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা সাকিব ও মোস্তাফিজ আছেন ১২ জনের চূড়ান্ত তালিকায়। সাকিব আইপিএল খেলেছেন ৯ মৌসুম। এর মধ্যে কলকাতার হয়েই খেলেছেন সাত মৌসুম। ২০১১ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলেছেন। এ সময়ের মধ্যে ২০১২ ও ২০১৪ সালে কলকাতাকে চ্যাম্পিয়ন করায় ভূমিকা রেখেছেন সাকিব। বাকি দুই মৌসুম খেলেছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদে।
মোস্তাফিজ ২০১৬ সাল থেকেই আইপিএলের নিয়মিত মুখ। এই দুজন ছাড়া আইপিএলে আগে খেলা ক্রিকেটার আছেন লিটন দাস। তিনি ২০২৩ সালে কলকাতার হয়ে এক ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন।
এ ছাড়া চূড়ান্ত তালিকায় থাকা অন্য ক্রিকেটাররা হলেন রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম, তাওহিদ হৃদয়, মেহেদী হাসান মিরাজ, তানজিম হাসান, মেহেদী হাসান, নাহিদ রানা, হাসান মাহমুদ। তাঁদের কারোরই আইপিএলে খেলার অভিজ্ঞতা নেই। তাসকিনের প্রতি আইপিএলের কয়েকটি দলের আগ্রহ থাকলেও কোনো না কোনো কারণে শেষ পর্যন্ত খেলা হয়নি।
দুই দিনে ৫৭৪ ক্রিকেটারকে নিলামে তোলা হবে। এর মধ্যে ৩৬৬ জন ক্রিকেটার ভারতীয় ও ২০৮ জন বিদেশি। আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশগুলো থেকেও ৩ জন ক্রিকেটার আছেন। নিলামে আছেন অভিষেক না হওয়া ৩১৮ জন ভারতীয়, অভিষেক না হওয়া ১২ জন বিদেশি ক্রিকেটার। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো ২০৪ জন ক্রিকেটার কিনতে পারবে, যেখানে বিদেশিদের জন্য জায়গা আছে ৭০টি।