ঢাকা : গেল পাঁচ বছর ধরে আমার পরিবারের সাথে অন্যায় করা হয়েছে। আমার ইমেজ নষ্ট করা হয়েছে। এতদিনের ক্যারিয়ার হুমকির মুখে ফেলা হয়েছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। আমি এসব কথা দর্শক – শুভাকাঙ্খীদের জানাতে এখানে এসেছি – আজ সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এভাবেই বলছিলেন অভিনেত্রী রোমানা স্বর্ণা।
প্রায় দুই বছর ধরে নিরাপত্তার অভাবে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। স্বামী কামরুল ইসলাম জুয়েলের করা হয়রানিমূলক মামলায় কারাভোগ প্রসঙ্গে কথা বলতে তিনি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে গণমাধ্যমের সামনে এলেন বলে জানান।
রোমানা বলেন, ২০২১ সালের মার্চে একটি মিথ্যা মামলায় আমি গ্রেপ্তার হয়েছিলাম। গ্রেপ্তারের দেড় মাস পর জুয়েলের জিম্মায় জামিনে বেরিয়ে আসি। মিথ্যা মামলা বলছি এ কারণে জুয়েলের শর্ত মেনে নেওয়াতে তিনি মামলা তুলে নেন। মূলত জুয়েলের কথা না শোনাতে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে গ্রেপ্তার করে আমায়।
তিনি বলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামালের নির্দেশে সাবেক ডিবি হারুন গ্রেপ্তার করেছিল।
স্বর্ণা জানান, আমার নামে মামলা সহ ২৮টি বিয়ে করার কথা রটানো হয়েছিল, যেগুলো ভিত্তিহীন। এই বিয়েগুলোর প্রমাণ আজও দিতে পারেনি। এবং আমাকে যেভাবে মিডিয়ার সামনে উপস্থাপন করা হয়েছিল তারও প্রমাণ দিতে পারেনি। মূলত আমাকে সম্মানহানি করার জন্যই এসব ভিত্তিহীন তথ্য ছড়ানো হয়।
রোমানা স্বর্ণা জানান, একজন বন্ধুর মাধ্যমে জুয়েলের সাথে স্বর্ণার পরিচয় হয়। অনেক চেষ্টার পর জুয়েল ২০১৯ সালে তাকে বিয়ে করতে সক্ষম হন। তবে, বিয়ের পর মিডিয়ায় কাজের বিষয়ে বাধার মুখে পড়েন স্বর্ণা। তিনি জানতে পারেন জুয়েল বিবাহিত। তাই তাকে ডিভোর্স দেন তিনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে জুয়েল তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। অত:পর ডিভোর্স তুলে নেয়ার শর্তে মামলা তুলে নেন জুয়েল। মোট তিনবার ডিভোর্স দেন রোমানা।
সংবাদ সম্মেলনে জুয়েলের অপকর্মের ফিরিস্তি তুলে ধরে স্বর্ণা বলেন, জুয়েল অর্থ পাচার করতো এবং একই সঙ্গে জমি দখল করে দিতো। দখল নিশ্চিত করতে বিভিন্ন মানুষের নামে মিথ্যা হয়রানি মূলক মামলা দিতো। জুয়েল নিজ স্ত্রীকে অনৈতিক সম্পর্কে বাধ্য করতেন এবং অমানবিক নির্যাতন করতেন। সাধারণ মানুষের নামে মিথ্যা মামলার জন্য বাসায় আনা এবং তা নিয়ে বাধা প্রদান করলে আমার ওপর অমানবিক অত্যাচার হতো।
তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালের ৫ই আগস্টের পূর্বে ছাত্র আন্দোলনকে ধ্বংসের জন্য অর্থ লগ্নি করেন এবং আমার দেয়া ফেইসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে আমাকে সহ পরিবার কে অনবরত হুমকি প্রদান করেন। যে আন্দোলন বন্ধ হলে সবাইকে হত্যা করে গুম করবে যার লাশ পাওয়াও যাবে না। সর্বশেষ জুলাই মাস পর্যন্ত বিভিন্ন হুমতি দিয়েছেন।
স্বর্ণা বলেন, সুবিচারের উদ্দেশ্যে তিনি শিগগিরই আইনের আশ্রয় নেবেন।