ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে ‘চোর সন্দেহে’ এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাত ৮টা পর্যন্ত পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম সাহাবুদ্দিন শাহীন কালের কণ্ঠকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃতরা হলেন হল ছাত্রলীগের সাবেক উপবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের জালাল আহমেদ, হল ছাত্রলীগের সাবেক গণযোগাযোগ ও উন্নয়ন বিষয়ক উপসম্পাদক ও গণিত বিভাগের আহসান উল্লাহ, মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের মোহাম্মদ সুমন, পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের মোত্তাকিন সাকিন, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী আল হোসাইন সাজ্জাদ।
জালাল আহমেদ ও আহসানুল্লাহ ছাড়া আটককৃত অন্য শিক্ষার্থীরা ফজলুল হক মুসলিম হল শাখা ছাত্রলীগ কমিটির কোনো পদধারী না হলেও তারা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় ছিলেন বলে কয়েকজন শিক্ষার্থী নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. তালেবুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ঘটনা ঘটার পর থেকে আমরা আমাদের পুলিশি কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। এটি তদন্তের বিষয় তদন্তের মাধ্যমে পুরো ঘটনা বেরিয়ে আসবে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে। এ ছাড়া আমাদের পুলিশের ডিবি টিম ও কাজ করছে।
ঘটনায় যারা সংশ্লিষ্ট তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য আমাদের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন তদারকি কর্মকর্তা আছেন। তারাসহ সবাই ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আশা করি, এই রহস্য খুব সহজেই উন্মোচন করতে পারব।’
শাহবাগ থানার ওসি বলেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আটক করে নিয়ে আসা হয়েছে।
বুধবার দিবাগত রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হন এক যুবক। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে (ঢামেক) নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত ওই ব্যক্তির নাম তোফাজ্জল।
তোফাজ্জল হোসেন (৩২) বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠালতলী ইউনিয়নের তালুকের চরদুয়ানী গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম মৃত আবদুর রহমান।