সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১১ অপরাহ্ন

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বিএনপি’র ৪২২জন নিহত হয়েছেন : ফখরুল

রিপোটার:
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৩৫ Time View

মনিরুল ইসলাম: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের দমন-পীড়ন থেকে বিএনপি’র কোনো নেতাকর্মী রেহাই পায়নি। মামলা হয়েছে দেড় লাখ, আসামী ৬০ লাখ। নেতাকর্মীদের না পেয়ে তাদের পিতাকে, সন্তান এমনকি স্ত্রীকেও ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ।

তিনি বলেন, এবার সরকার পতনের ছাত্র-জনতার আন্দোলনেও নিহত ৮৭৫ জনের মধ্যে ৪২২ জনই বিএনপির নেতাকর্মী। সকল মত ও পথের ব্যক্তির পরিচয় যাই হোক না কেন প্রতিটি হত্যাকান্ডে বিচার করতে হবে।

রবিবার দুপুরে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, প্রতিবার গনতন্ত্র পূনরুদ্ধার করেছে বিএনপি। ৫ আগস্ট গনতন্ত্রের পথ সুগম হয়েছে। দেশের মানুষের আকাঙ্খার প্রতিফলন হিসেবে রাজপথে নেমে এসেছে বিএনপি। আন্দোলনের কৃতিত্ব নেবার জন্য নয় বরং দেশের মানুষের জন্য রাজপথে নেমেছে বিএনপি।

তিনি বলেন, যুগপৎ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যে ঐক্য গড়ে উঠেছিলো যার প্রকাশ ছিলো ১০ ডিসেম্বরের ১০ দফায়। শেষে ১দফা আন্দোলন শুরু করে সেসময় বিএনপির সিনিয়র নেতাসহ ১০ হাজারের বেশি নেতাকর্মীদের আটক করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় দলীয় কার্যালয়। বিএনপির অবদানকে খাটো করে দেখার কোন সুযোগ নেই। ১৬ জুলাই আবু সাইদের হত্যাকান্ডের পর ক্ষোভে ফুসে ওঠে সারা দেশে। ১৯ তারিখ বন্ধ হয় বিএনপি কার্যালয় গ্রেফতার করা হয় বিএনপি অসংখ্য নেতাকর্মীকে। বহুমাতৃিক নিপীড়ন উপেক্ষা করে বিএনপি রাজপথে ছিলো। সাভারের গান পাউডার দিয়ে যে লাশ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে তার মধ্যে বিএনপি নেতাও ছিলো। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা জিয়া পরিবারের উপর অত্যাচার চালিয়ে, লাখ লাখ নেতাকর্মীদের ঘর ছাড়া করেছে।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরের হকার রিক্সাচালক, সিকিউরিটি গার্ডসহ নিম্ন শ্রেনীর কাজ যারা করে তাদের বেশির ভাগই বিএনপি নেতাকর্মী। বিএনপি নেতাকর্মীদের যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তা বর্বরতার কালো অধ্যায় হিসেবে থেকে যাবে। নেতাকর্মীদের উপর যে নিপীড়ন তা বর্বরতার উদাহরন হয়ে থাকবে। বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতে সরকারের যে নিপীড়ন তা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যামে আলোচিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে এমন অত্যাচার নিপীড়ন লাগাতার চালিয়ে গেছে। আজ যে বিজয়, এ বিজয়ের পেছনে রয়েছে অসংখ্য মানুষের আর্তনাদ।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এগুলো শুধু পরিসংখ্যান নয় বাংলাদেশে গনতন্ত্র পূনরুদ্ধারে আন্দোলনে বিএনপির অবদান অস্বীকার করার উপায় নেই। যারা গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে যুক্ত ছিলো তাদের আত্মত্যাগের যথাযথ স্বীকৃতি না দিলে তা হবে ইতিহাসের প্রতি অবিচার। রাস্ট্র সংস্কার করে প্রকৃত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বিএনপির সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। ৩১ দফা বাস্তবায়ন করে গড়ে তুলতে হবে নিরাপদ ও মেধা ভিত্তিক সমাজ।

তিনি বলেন, এই মূহূর্তে প্রয়োজন সকলের মতামত নিয়ে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরী করে নির্বাচন দেয়া। আমরা বাধা দেখতে পাচ্ছি, ঐক্যের জন্য উপযোগী নয় এমন অনেক কথা বলছে। এই মূহূর্তে দরকার ঐক্য। চক্রান্ত চলছে। ধৈর্য্য ধরে সহনশীলতার সাথে অন্তবর্তী সরকার যে কাজ ধরছে তা দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করে নির্বাচনের দিকে যেতে হবে। সংস্কারের পাশাপাশি নির্বাচনের সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া দরকার। বিএনপি ও আওয়ামী লীগ মূদ্রাসহ এপিঠ ও ওপিঠ হবার সুযোগ নেই। বিএনপি গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা দল আওয়ামী লীগ গনতন্ত্র ধ্বংস করা দল।

এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ড. আব্দুল মঈন খান, সালাউদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

 

Please Share This Post in Your Social Media

এই জাতীয় আরো খবর

খুলনায় জমি বিক্রি হবে

খুলনা-যশোর বিশ্বরোডে মোস্তফার মোড়ের নিকটে টুটুল নগর আবাসিক এলাকায় এখনই বাড়ি করার উপযোগী ১০ শতক জমি বিক্রি হবে। ডিজিটাল খাজনা খারিজ করা। সম্পূর্ণ নিষ্কন্টক। বিশ্ব রোড থেকে ২০ ফিট রাস্তা, ভেতরে ১৫ ফিট রাস্তা। উচু জমি।

যোগাযোগ: মো. মহসিন হোসেন-০১৭১১৭৮৩৮৬৮

 

© All rights reserved © 2022 deshnews24.com
Theme Customized By Max Speed Ltd.