রাজলক্ষ্মী মৌসুমী
> পিতা তুমি যে স্বাধীনতাকে চেয়েছো সেই স্বাধীনতার সূর্যটা ম্লান।
> স্বাধীনতা –
> পরাধীনতাকে বিসর্জন দিয়ে
> তুমি এসেছো বাংলার মাটিতে।
> পিতা তোমার আহ্বানে সক্রিয় হয়েছিলো বাঙ্গালী,
> পরাধীনতার শিকলকে ভাঙতে।
> যাঁরা প্রাণ বিসর্জন হবে জেনেও রুখে দাঁড়িয়েছে
> স্বাধীন পতাকা ছিনিয়ে আনতে।
> কোনঠাসা করে রেখেছিলো যারা
> এদের হটিয়ে রক্তের বিনিময়ে
> নতুন সূর্যের জন্ম দিয়েছে তারা।
>
> স্বাধীনতা চাই তেমন ভাবেই,
> বাক্ স্বাধীনতা, গান শোনা, প্রতিবাদ করার মাঝেই।
> শুধু চুপচাপ সব অপমান, লাঞ্ছনা হজম করা নয়।
> মাথা উঁচু করে যোদ্ধার মতোই
> ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই করে নিতে চাই।
> স্বাধীনতা তুমি যেমন আমার,
> তেমনি প্রতিটি মানুষের।
> স্বর্গ মর্ত্যের ব্যবধান আছে জানি।
> আমরাই সমাজের স্বপ্ন গড়ার কারিগর।
> সমাজের রিপুর রুপকারকে চিনেও আমরা
> না চেনার ভান করি।
> যুগে যুগে এমনি করেই সমাজের বিকল, মরীচা ধরা
> যন্ত্রগুলি মাথাচাড়া দিয়ে দূর্বল জায়গায় আঘাত হানে।
> স্বাধীনতা তুমি কি দিয়েছো কি পেয়েছি হিসাব করিনি কখনও।
> কেবলি অনাচার, অবিচার, অসহায় মানুষের হাহাকার অবাক হয়ে হজম করি।
> নিজের খেয়ে, নিজের পরে এখনও কোন কোন মানুষ স্বাধীনতার অর্থ বুঝতে পারেনা।
> দেখি আর শুনি মান- সম্ভ্রম হারিয়ে এক ঘরে হওয়া।
> যেনো কটূক্তি করলেও কথা বলা বারণ।
> নিজের ইচ্ছে মতো , নিজের ঘরে স্বাধীন ভাবে বিচরণ করাটাও যেন পিতা- মাতা, গৃহ শিক্ষকের
> আদেশ- উপদেশের কথামালার মতো বারণ।
> প্রতিবেশীর দাপটে আক্রান্ত হয়ে সম্মানের বলীদান হওয়া।
> স্বাধীনতার সূচনায় এমন কোন কিছু বই পুস্তকে লেখা ছিলো না ।
> এমম মানসিক ভেদাভেদের কোন আভাসও ছিলো না।।।