সাম্প্রতিক ভারতীয় আম্পায়ারদের কোয়ালিটি নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। রঞ্জি ট্রফি থেকে শুরু করে আইপিএল বা কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচে বিতর্ক পিছু ছাড়েনি ভারতীয় আম্পায়ারদের।
ফলে ভাল মানের আম্পায়ার তুলে আনতে মরিয়া বিসিসিআই। কঠিন পরীক্ষার মাধ্যমে বোর্ড তুলতে চায় কোয়ালিটি আম্পায়ার। আর এই পরীক্ষাতেই ১৪০ জনের মধ্যে পাশ করল মাত্র ৩ জন।
রঞ্জির ম্যাচ টিভিতে না দেখানোয় এবং ডিআরএস না থাকায় অনেক ভুল ধরা পড়েনি। কিন্তু আইপিএলের আম্পায়ারিং বিসিসিআইয়ের মুখে কালিমা লেপন করেছে।
গত মাসে আহমেদাবাদে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যাতে পাস করলে মেয়েদের এবং জুনিয়রদের ম্যাচ পরিচালনা করা যাবে। ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করার দায়িত্বও দেওয়া হবে সেই আম্পায়ারদের।
২০০ নম্বরের পরীক্ষা হয়েছে। তার মধ্যে লিখিত পরীক্ষার জন্য ১০০, মৌখিক এবং ভিডিওর জন্য ৩৫ এবং শারীরিক পরীক্ষার জন্য ৩০ নম্বর ছিল। ব্যবহারিক পরীক্ষায় বেশির ভাগই ভালো ফল করেন। কিন্তু লিখিত পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছেন। কিন্তু কেন?
চলুন দেখে নেওয়া যাক প্রশ্নের নমুনা…
• পিচে প্যাভিলিয়ন, গাছ বা কোনও ফিল্ডারের ছায়া পড়লে আপনি কি করবেন?
• বোলারের তর্জনীতে চোট লাগায় সেই প্লেয়ার আঙুলে টেপ বেঁধেছেন। সেটি খুলে ফেললে রক্ত বেরোতে পারে। এই পরিস্থিতিতে আপনি কি বোলিং করার সময় বোলারকে সেই টেপ খুলতে বলবেন?
• ব্যাটার শট মারার পর সেই বল গিয়ে লেগেছে শর্ট লেগে দাঁড়ানো ফিল্ডারের হেলমেটে। জোরে শটের জন্য হেলমেট ফিল্ডারের মাথা থেকে খুলে গেলেও বল সেখানেই আটকে রয়েছে। হেলমেট মাটিতে পরার আগেই বলটি ক্যাচ ধরে ফেললেন ফিল্ডার। তবে কি সেটা আউট হবে?
আম্পায়ারদের জন্য লেভেল ২ পরীক্ষায় এ রকমই ৩৭টি প্রশ্ন ছিল। বোর্ডের এক সূত্র জানিয়েছেন, আম্পায়ারিংয়ের মান ভালো করার জন্যই কঠিন পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি বলা হয়েছে, ভারতের রাজ্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন যে আম্পায়ারদের পাঠিয়েছে, তাদের মান মোটেও ভালো নয়। তাই এই বাজে ফলাফল। পাস করেছে মাত্র তিন জন!