মনিরুল ইসলাম : এদেশের স্বনামধন্য গজল শিল্পী মেসবাহ আহমেদ। নিজের ভিন্ন ধরনের গায়কী দিয়ে সত্যিকারের গান পাগল মানুষদের মনে অন্যরকম এক অবস্থান তৈরি করে নিয়েছেন অনেক আগেই। আধুনিক, গজল আর ক্লাসিকাল ঘরানার গান করেই তিনি শ্রোতাদের মুগ্ধ করে চলেছেন। সংগীতের পথচলার ৩ যুগ পাড় করেছেন। সংগীতের পথচলার ৩ যুগ পূর্তি উপলক্ষ্যে বনানী ফ্রেন্ডস কমিউনিটি ক্লাব আয়োজিত একক গজল সন্ধ্যায় কালকে গজল পরিবেশন করবেন মেসবাহ আহমেদ। ৩১ জানুয়ারী, বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় এই গজল সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হবে। আমন্ত্রিত অতিথিরা অনুষ্ঠানটি দেখতে পারবেন বলে জানান মেসবাহ আহমেদ।
মঙ্গলবার সকালে আলাপকালে গজল শিল্পী মেসবাহ আহমেদ জানান, এবছর শুরুতেই তার লেখা ও সুরে বেশ কিছু নতুন বাংলা গান আসবে। এবং তানভীর তারেকের কম্পোজিশনে একটি বাংলা গান আমি গাইব। গানের টাইটেল হচ্ছে ‘খেয়ালি চাঁদ’। আর গজল নিয়ে তো পথচলা চলছেই।
তিনি বলেন, তারুণ্যে আমাকে গজল টেনে নিয়েছিল সেই ধারায় আজ আমি পরিণত মেসবাহ আহমেদ সে
মেসবাহ আহমেদ নিজেকে নির্মাণ করেছেন গভীর সাধনা আরাধনা ও উপাসনায়। ওস্তাদ নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরীর হাতে সবকের শুরু হয়েছিল যে কিশোর মেসবাহ’র সেই মেসবাহই পূর্ণ হয়েছেন গজল কিং জগজিৎ সিং-এর অলৌকিক সান্নিধ্যস্পর্শে! দীর্ঘ তিন যুগের তপস্যায় ঢাকার মেসবাহ আহমেদ পরিণত হয়েছেন বাংলাদেশের মেসবাহ আহমেদে। গজল শিল্পী মেসবাহ আহমেদ তাঁর ত্যাগ, শ্রম, অভিনিবেশ ও সর্বোচ্চ আত্মনিবেদনে হয়ে উঠেছেন গজল ম্যায়েস্ট্রো মেসবাহ আহমেদ।
বাংলাদেশে ২য় কোনো শিল্পী নেই যিনি শুধু সঙ্গীতের একটি বিশেষ ধারায় গাইবার প্রয়োজনে একটি ভাষা শিখেছেন। মেসবাহ আহমেদ সেই এক ও অদ্বিতীয় শিল্পী যিনি গজল গাওয়াকে শতভাগ প্রফেশনাল করে তোলার জন্যে উর্দু ভাষা শিখেছেন কঠিন প্রশিক্ষণ ও চর্চায়। ব্যবসায়িক কাজে ব্যস্ততা থাকা সত্বেও তিনি তাঁর বাংলা মৌলিক গান প্রকাশের দিকে বিশেষ নজর রেখেছেন।
গতবছর মেসবাহ আহমেদ ভারতের ঐতিহ্যবাহী আন্তর্জাতিক গজল সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। মুম্বাই অনুষ্ঠিত ‘খাজানা ফেস্টিভ্যাল’ শীর্ষক সপ্তাহব্যাপী এই সম্মেলনে গজল পরিবেশন করে সবাইকে মুগ্ধ করেন।