আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থায় তাকে জড়িয়ে সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। বুধবার সন্ধ্যায় তিনি নিজের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেইজে এই প্রতিবাদ জানান তিনি।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার সংবাদ সংস্থা এএফপি বাংলাদেশের টিভি চ্যালেন সময় টিভির কয়েকজন সাংবাদিক বরখাস্তের খবর প্রকাশ করেছে। তবে এটি এমনভাবে উপস্থাপন করেছে যেন ছাত্রদের পক্ষ থেকে গঠিত কোনো দল সময় টিভির মালিক সিটি গ্রুপকে সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুত করতে বাধ্য করেছে। কিন্তু এটি পুরোপুরি মিথ্যা।
তিনি বলেন, আমরা সম্প্রতি সিটি গ্রুপের অফিসে গিয়ে সময় টিভির সাংবাদিকদের বিষয়ে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জানাই। বিশেষ করে জুলাই-আগস্টের গণ-আন্দেলনের সময় তাদের ভূমিকা নিয়ে।
গণ-আন্দোলনের সময় অনেক টিভি চ্যানেল, পত্রিকা এবং সংবাদ ওয়েবসাইট ন্যূনতম সাংবাদিকতার নীতি মেনে চলেনি। তারা শিক্ষার্থী এবং প্রতিবাদকারীদের “জঙ্গি”, “অপরাধী”, এবং ইসলামপন্থি উগ্রবাদী” বলে অভিহিত করেছিল। তাদের মানবিক অধিকারকে হেয় করে এবং তাদের প্রতিবাদের বৈধতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করে। এরা হাসিনার নৃশংস গণহত্যার প্রতি সমর্থন ও বৈধতা দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। আমরা সেই সাংবাদিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই, যারা আন্দোলনের সময় হাসিনার নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে শহীদ হয়েছেন এবং যারা সত্য প্রতিবেদন প্রকাশ করতে গিয়ে রক্তপিপাসু নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন। আন্দোলনের সময় যে সবস আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বড় ধরণের ভূমিকা রেখেছেন। আমরা তাদেরকেও অভিনন্দ জানাই।