সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ দামেস্ক ছেড়েছেন বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
রোববার সকালে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাশার আল-আসাদ দামেস্ক ছাড়লেও কোথায় গেছেন, সেটা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স দুই সিনিয়র সিরিয়ান কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, একটি বিমানে চড়ে দামেস্ক ছেড়ে অজানা গন্তব্যে চলে গেছেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ।
অন্যদিকে এ বিষয়ে লন্ডনভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ ছেড়ে গেছে। সেটায় বাশার আল-আসাদ থাকতে পারেন। ওই উড়োজাহাজটি উড্ডয়নের পর বিমানবন্দর থেকে সরকারি সেনাদের সরিয়ে নেওয়া হয়।
এদিকে বিদ্রোহীরা বলেছেন, তারা দামেস্কে ঢুকে পড়েছেন। সেখানে কোনো সেনা মোতায়েন নেই। তারা বলেছেন, আমাদের বিদ্রোহীদের মুক্তি দেওয়ার খবর আমরা উদ্যাপন করছি।
এর আগে খবর পাওয়া যায়, সিরিয়ার বিদ্রোহী যোদ্ধারা দামেস্কে ঢুকে পড়েছেন। শহরটির বিভিন্ন জায়গায় গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে।
এদিকে প্রায় ২ হাজার সিরিয়ান সেনা সীমান্ত পার হয়ে ইরাকে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইরাকের সীমান্তবর্তী সিরিয়ার আল-কায়িম শহরের মেয়র।
বিরোধী বাহিনী পশ্চিম দামেস্কের গ্রামাঞ্চলে অগ্রসর হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে সূত্রগুলো। তারা বলেছে, পূর্ব ঘোউতার বিভিন্ন শহর থেকে সরকারি সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দামেস্কের বাজারগুলোতে খাদ্যপণ্য কিনতে মানুষের ভিড় লক্ষ করা গেছে।
বিদ্রোহী কমান্ডার হাসান আবদুল ঘানি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেছেন, হোমস শহর ‘পূর্ণাঙ্গ স্বাধীন’ করা হয়েছে। তিনি জানান, দামেস্কের সেদনায়া কারাগার থেকে সাড়ে ৩ হাজারের বেশি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।