ত্রিপুরার ডুম্বুর ব্যারেজের গেট খুলে দেওয়ায় টানা কয়েকদিন ধরে ফেনী নোয়াখালী ও কুমিল্লাসহ আশপাশের জেলার মানুষগুলো পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। পানিবন্দি লাখো মানুষের পাশে দাড়ানোর নিদের্শ দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার নির্দেশনায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক ১নং সহদপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে বন্যা দুর্গতদের পাশে দাড়িয়েছেন। তার নেতৃত্বে টিমের সদস্যরা রোববার ২৫ আগস্ট ফেনীর দাগনভুইয়া উপজেলার রাজাপুর ও সিন্দুরপুর ইউনিয়নের সবগুলো আশ্রয়কেন্দ্রে যান। পানিবন্দি বন্যাদুর্গত মানুষের হাতে তুলে দেন ত্রাণ সামগ্রী। শুকনো খাবার ও ঔষধ দিয়ে অসহায় মানুষদের খোঁজখবর নেন।
এসময় আবদুল লতিফ জনি বলেন, বাংলাদেশের ফেনী, কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলের মানুষ এমন ভয়াবহ বন্যা আগে দেখেনি। পানিবন্দি কয়েক লাখ মানুষ। ডুবে গেছে একতলা সমান সব কাঁচা-পাকা বাড়ি। বন্যার পানি বৃদ্ধি এত আকস্মিক ছিল যে ঘরের প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সরানোর সুযোগও পায়নি অধিকাংশ পরিবার। ত্রাণসামগ্রী পৌঁছানোও হয়ে উঠেছে দুরূহ। কোনো সর্তক ছাড়া পানি ছেড়ে দেওয়ায় প্রায় অর্ধকোটি মানুষের জীবনে নেমে এসেছে চরম দূর্ভোগ।
তিনি বলেন, ‘ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লা অঞ্চলে হঠাৎ করে একদিনে ভেসে যাওয়া কখনোই স্বাভাবিক নয়। তারা পানি ধরে রেখে পূর্বাভাস না দিয়েই পানি ছেড়ে দিয়েছে। তারা জানতো, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে ত্রিপুরায় বাঁধ উপচে পানি যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেক্ষেত্রে তারা পূর্বাভাসের পাশাপাশি অল্প অল্প করে পানি ছেড়ে দিতে পারতো আগে থেকেই। তারা সেটা করেনি।’
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য দোয়া চেয়ে তিনি বলেন, বিএনপি সব সময় মানুষের পাশে ছিলেন এবং আছেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং লন্ডনে থাকা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সব সময় বন্যার খোজখবর নিচ্ছেন।