ঢাকা: দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে হওয়া লঘুচাপ সৃষ্টি হয়ে, এখন নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিচ্ছে। এরই মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি গতিপথ পরিবর্তন করেছে একাধিকবার। সবশেষ তথ্য বলছে, কলকাতা মহানগর অঞ্চল বা কলকাতা মেট্রোপলিটান অঞ্চল (কেএমএ) বা বৃহত্তর কলকাতা পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা মহানগরে হানা দিতে পারে।
বুধবার (২২ মে) বিকেলে দেশটির আবহাওয়ার পূর্বাভাসের এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা নিয়ে গত ১১ মে সংবাদ প্রকাশ করে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী রোববার সন্ধ্যার পর ঘণ্টায় ৮০-১০০ কিলোমিটার গতিতে কলকাতায় আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। গতিপথ অপরিবর্তিত থাকলে কলকাতা শহরে ঝড়ের ব্যাপক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, অনেকটা ঘূর্ণিঝড় আমফানের মতোই কলকাতা শহরের ওপর দিয়ে যেতে পারে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। ঝড়ের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হতে পারে মহানগরসহ আশপাশ।
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল, পরিবর্তন হচ্ছে গতিপথ
সাগরে লঘুচাপ, আসন্ন ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ এর অর্থ জানেন?
এদিকে বুধবার (২২ মে) বিকেলে দেওয়া অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের পথ ধরেই এগোবে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। আগামী শনিবার কিংবা রোববার তৃতীয় শ্রেণির ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে সেটি। রোববার সন্ধ্যার পর সাগরের কাছাকাছি কোনও জায়গা দিয়ে ভূভাগে প্রবেশ করবে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। এর পর ক্রমশ উত্তর পশ্চিম দিকে এগিয়ে যাবে ঝড়ের কেন্দ্র।
জানা যায়, গতিপথ অপরিবর্তিত থেকে কলকাতা শহরে ব্যাপক ঝড় হতে পারে। আমফানের মতো শক্তিশালী না হলেও ভোট গ্রহণের মাত্র ৪ দিন আগে ঝড়ের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হতে পারে মহানগর। প্রভাব পড়তে পারে শেষ বেলার প্রচারে। সুন্দরবন ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ভাঙতে পারে সমুদ্র বা নদীবাঁধ।
শঙ্কা করা হচ্ছে, এ ঘূর্ণিঝড় কলকাতায় অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে ক্ষতির মুখে পড়তে পারে ছোটনাগপুরের মালভূমি। এতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। ব্যাপক বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং ও সিকিম পাহাড়, তরাই ও ডুয়ার্সে। যার জেরে তরাই ডুয়ার্সে হড়পা বান আসতে পারে।