নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার–উজ–জামান। আজ বৃহস্পতিবার ২ জানুয়ারি রাতে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসভবনে বিএনপি নেত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাঁর স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন সেনাপ্রধান। এ সময় সেনাপ্রধানের সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী বেগম সারাহনাজ কামালিকা রহমান।
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান রাত সাড়ে আটটার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসভবনে যান। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান খালেদা জিয়ার নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহি আকবর।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই সাক্ষাতের কথা জানিয়েছেন।
ফজলে এলাহি আকবরের বরাত দিয়ে শায়রুল কবির খান বলেন, রাত সাড়ে আটটা থেকে প্রায় ৪০ মিনিট খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলেন সেনাপ্রধান ও তাঁর সহধর্মিণী। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন, সেনাপ্রধান সেই দোয়া করেছেন।
চিকিৎসার জন্য আগামী সপ্তাহে খালেদা জিয়ার লন্ডনে যাওয়ার কথা রয়েছে। তবে দিনক্ষণ এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে জানান তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে দুর্নীতির দুই মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তখন দুই বছরের বেশি সময় তিনি কারাবন্দী ছিলেন। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেয়। এরপর ছয় মাস পরপর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছিল তৎকালীন সরকার।
অসুস্থ খালেদা জিয়াকে বহুবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। দিনের পর দিন তাঁকে হাসপাতালে কাটাতে হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার তাঁকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেয়নি। পরে দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে তাঁর অস্ত্রোপচার দেশেই করা হয়। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরদিন ৬ আগস্ট খালেদা জিয়াকে নির্বাহী আদেশে মুক্তি দেওয়া হয়।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, হৃদ্রোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন।