ঢাকা : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য নিয়োগ পাওয়া উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ এর সাথে সাক্ষাৎ করেছেন শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের সভাপতি অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাকক্ষে এই সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তারা কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরেন । সাক্ষাৎ ও আলোচনা শেষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য জোটের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের মহাসচিব মো. জাকির হোসেন, চৌধুরী মুগীস উদ্দিন মাহমুদ, মাওলানা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাঈনুদ্দিন, অধ্যক্ষ মো সেলিম মিয়া, অধ্যক্ষ মো নিজামুদ্দিন তরফদার, অধ্যাপক রোকেয়া চৌধুরী বেবী, অধ্যাপক আব্দুল হাকিম, শাহনাজ পারভীন, এএইচএম সায়েদুজ্জামান প্রমুখ। অন্যদিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনায় অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া বলেন, লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এটা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কার করে শিক্ষাবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বেসরকারি কলেজের গভর্নিং বডিতে যেন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গ আসেন সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে কমিটিতে যেন কেউ না আসে সেই পরামর্শ দেন তিনি। এসময় দায়িত্ব পাওয়ার সাথে সাথে শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য জোটের দাবির প্রেক্ষিতে পতিত সরকারের লেজুরবৃত্তি করা গভর্নিং বডির পুরো কমিটি ভেঙ্গে দেওয়ায় উপাচার্যকে ধন্যবাদ জানান ।
এসময় অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কার করে শিক্ষাবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা,
সেশন জট কমানো, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোর্স শেষ করা ও পরীক্ষা গ্রহণ, যুগোপযোগী সিলেবাস প্রণয়ন, লেজুরবৃত্তি ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি বন্ধ করা, শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা বৃদ্ধি করা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ক্লাসে উপস্থিতি নিশ্চিত করাসহ বেশ কয়েকটি প্রস্তাবনা তুলে ধরেন তিনি।
নেতৃবৃন্দ বলেন, আওয়ামীলীগের আমলে নিয়োগকৃত অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষকগণ সরকার পরিবর্তন হলেও সাধারণ শিক্ষক ও জাতীয়তাবাদীমনা শিক্ষকদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন চালাচ্ছে। তাই অধ্যক্ষ ও প্রধানশিক্ষকদের অব্যাহতি দিয়ে আওয়ামীলীগ কর্তৃক দলীয় নিয়োগকৃত উপাধ্যক্ষ ও সহকারী প্রধান শিক্ষক ব্যতিত অন্য ৫ জন জ্যেষ্ঠ শিক্ষক হতে যে কোন একজনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ/ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়ার জোরালো দাবি জানান।