মনিরুল ইসলাম: সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে নিজ প্যানেলের সভাপতি পদপ্রার্থী নাম ঘোষণা করলেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ। এবার নায়ক -অভিনেতা মাহমুদ কলিকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনে লড়বেন মিশা-ডিপজলের বিপক্ষে।
রোববার এফডিসির শিল্পী সমিতিতে এক সংবাদ বিফ্রিংয়ে নিপুণ এই ঘোষণা দেন। তার পাশে ছিলেন নায়িকা অঞ্জনা, পলিসহ শিল্পীরা।
নিপুণ তার বক্তব্যে প্রথমেই স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বলেন, আজ ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্মদিন। তার জন্ম না হলে আমরা স্বাধীনতা পেতাম না।
তিনি বলেন, আমি বিগত দিনে শিল্পী সমিতির জন্য কি করেছি তা আমার সহকর্মীরাই বলতে পারবেন। আমি সব সময় তাদের পাশে ছিলাম। আগামী দিনে তাদের পাশে থাকব।
নিপুণ বলেন, আজকে আমি ঘোষণা করছি নায়ক- অভিনেতা মাহমুদ কলিকে নিয়ে আমি আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। আমাদের প্যানেলের সকলের নাম শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।
তিনি বলেন, আমি সকলের সহযোগিতা চাই। আমি এখনই তাদের নাম ঘোষণা করছি না তাহলে এদের নিয়ে নানা রাজনীতি শুরু হয়ে যাবে। সময় হলে সব জানতে পারবেন।
আগামী নির্বাচনের সভাপতিপ্রার্থী মাহমুদ কলি বলেন, আমি অভিনয় করতে আসিনি। আমি আগে ২ বার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। এবার নির্বাচনে এসেছি শিল্পী সমিতি ও শিল্পী সমাজের উন্নয়নে কাজ করতে। ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে।
তিনি বলেন, আমি সরকার ও চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সমিতিগুলোর সাথে সমন্বয় করে কিভাবে চলচ্চিত্রের উন্নতি করা যায় তা করার ইচ্ছে নিয়েই নির্বাচন করতে এসেছি।
মাহমুদ কলি বলেন, আমি সকলের সহযোগিতা চাই। দোয়া চাই।
আগামী ২৭ এপ্রিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে মাহমুদ কলি ও নিপুণ প্যানেল নির্বাচন করবেন।
উল্লেখ্য, মাহমুদ কলি ছিলেন আশি ও নব্বই দশকের নায়ক। তার পারিবারিক নাম মাহমুদুর রহমান উসমানী। তিনি বাংলাদেশের স্বনামধন্য চিত্রনির্মাতা আজিজুর রহমান বুলির ছোট ভাই। মূলত ভাইয়ের হাত ধরেই তিনি চলচ্চিত্রে আসেন। এরপর দেখিয়েছেন অভিনয়ের মুন্সিয়ানা।
মাহমুদ কলি অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘মাস্তান’। তিনি এই চলচ্চিত্রে সহ-অভিনেতার ভূমিকায় ছিলেন। এরপর ১৯৭৮ সালে অশোক ঘোষ নির্মিত ‘তুফান’ চলচ্চিত্রে মূল নায়কের ভুমিকায় অভিনয় করেন। মাহমুদ কলি ৬১টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি শিল্পী সমিতির বিগত দিনে নেতৃত্ব দিয়েছেন।