অক্টোবরের শুরুতে ভারতে বসতে যাচ্ছে ওয়ানডে বিশ্বকাপের এবারের আসর। এই টুর্নামেন্ট ঘিরে বাংলাদেশের আছে বড় স্বপ্ন।
আগের পথটা অবশ্য খুব একটা স্বস্তির যাচ্ছে না। অধিনায়ক তামিম ইকবাল মাঝে অবসর নিয়ে আবার ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু তার পিঠের চোট এখনও বিশ্বকাপের জন্য তাকে রেখেছে অনিশ্চিত।
আগামী মাসের শেষদিকে হবে এশিয়া কাপ। এই টুর্নামেন্ট থেকে বিশ্বকাপের দল খেলানোর কথা ছিল। কিন্তু এখনও নিশ্চিত হয়নি কেউই। তামিম না থাকলে নেতৃত্বই বা দেবেন কে? আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ দুই ওয়ানডেতে অধিনায়ক ছিলেন লিটন। তবে বিশ্বকাপে সাকিব আল হাসানকে অধিনায়ক হিসেবে দেখতে চান জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট।
বৃহস্পতিবার মিরপুরে ক্লেমন ইনডোর টুর্নামেন্টের পর তিনি বলেন, ‘তামিম যদি ইনজুরির কারণে নেতৃত্ব না দিতে পারে তাহলে আমার কাছে মনে হয় ৯০ ভাগ মানুষই বলবে সাকিব আল হাসান। আমরা কয়েকদিন আগে দেখলাম যে আফগানিস্তানের যেখানে ৫০-৫০ ম্যাচ ছিল সেখানে তার নেতৃত্ব দুটো ম্যাচেই বাংলাদেশ দেখিয়েছে, তার নেতৃত্ব, তাকে যে সবাই পছন্দ করেন ড্রেসিংরুম সেটা দেখিয়েছে, খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ’
‘অনেকেই হয়তো আছেন কিন্তু আমি কাউকেই ছোট করব না। তাদের অনেক সময় আছে। কিন্তু সাকিব যে একটা ব্র্যান্ড, সে যখন আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলবে, ড্রেসিংরুমে থাকবে…সাকিব এই জায়গাটা তৈরি করেছে। তো কোন সন্দেহ নেই তামিম যদি কোন কারণে মিস করে তাহলে সাকিবকে দেখা যায়। ’
বিশ্বকাপে কারা থাকবেন, এ নিয়েও অনিশ্চয়তা আছে। বিশেষত সাত নম্বর পজিশনের জন্য কাকে নেওয়া হবে স্কোয়াডে, এটি নিয়ে। এ জায়গায় অভিজ্ঞ মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে দৌড়ে আছেন আফিফ হোসেনের মতো তরুণরা। এই জায়গা আফিফের চেয়ে রিয়াদকেই এগিয়ে রাখছেন খালেদ মাসুদ।
তিনি বলেন, ‘আমরা কাউকেই বাদ দেওয়ার কথা বলব না, যেমন কিছুদিন আগে যেমন আফিফকে চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু আফিফ ভালো করতে পারেনি, দুর্ভাগ্য তার। সে প্রুভেন ক্রিকেটার, সৌম্য প্রুভেন ক্রিকেটার। আমরা সবাই জানি মাহমুদউল্লাহ অভিজ্ঞতার দিকে….দেখুন কয়েকদিন আগেও মুশফিককে বাদ দেয়ার কথা উঠেছিল কিন্তু সে কোন মানের ক্রিকেটার তা সে প্রমাণ করে দেখিয়েছে। তেমনি মাহমুদউল্লাহর বিশ্বকাপ অভিজ্ঞতাগুলো যদি দেখেন …বড় জায়গায় এমন বড় ক্রিকেটার গুরুত্বপূর্ণ। ’
‘এরকম টি-টোয়েন্টি হলে আমি বলতাম না কিন্তু এটা ওয়ানডে খেলা এখানে বিপক্ষে বড় দল থাকবে। কোন কারণে যদি চার উইকেট পড়ে যায় তখন অভিজ্ঞতাটা খুব দরকার যেমন একদিকে একজন ৬০ রান করবে। কোন দিন হয়ত উইকেট পড়বে না। কিন্তু যখন একটানে উইকেট পড়বে তখন কিন্তু সাত নম্বর পজিশন খুব গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ দলে যেহেতু একটা সুযোগ ছিল আফিফদের যেহেতু কাজে লাগাতে পারেনি তো মাহমুদউল্লাহ একদম পারফেক্ট চয়েজ হয়, কিন্তু তাকে সমর্থন দিতে হবে। তারপরও যদি মাহমুদউল্লাহকে না নিয়ে যদি অন্য কাউকে নেয় তো তাকে সাপোর্ট দেয়া উচিত। ’ সুত্র: বাংলানিউজ২৪.কম