“জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করি।
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রাণপুরুষ, মানবতা ও সাম্যের কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে সকল রকম অন্যায়, অত্যাচার, অবিচার আর জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন। তিনি বিংশ শতাব্দির বাংলা ভাষার প্রধান কবি ও সঙ্গীতকার। সাহিত্যের নানা শাখায় বিচরণ করলেও তাঁর প্রধান পরিচয় তিনি কবি। তিনি জালিমের বিরুদ্ধে মজলুমকে বিদ্রোহ করার প্রেরণা যুগিয়েছিলেন। প্রেম, দ্রোহ, সাম্যবাদ ও জাগরণের কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা ও গান শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংপ্রামে জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছে। মুক্তিযুদ্ধে তার গান ও কবিতা ছিল প্রেরণার উৎস। নজরুলের কবিতা, গান ও সাহিত্য কর্ম বাংলা সাহিত্যে নবজাগরণ সৃষ্টি করেছিল। তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার পথিকৃৎ লেখক। তার লেখনি জাতীয় জীবনে অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকাশে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। তার কবিতা ও গান মানুষকে যুগে যুগে শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্তির পথ দেখিয়ে চলছে। শোষণের বিরুদ্ধে আপোষহীন সংগ্রাম তাঁকে’ বিদ্রোহী কবির খ্যাতি এনে দিয়েছেন।
মানব প্রেমের এক অনন্য দৃষ্টান্ত কবি কাজী নজরুল ইসলাম। মানুষকে ভালোবেসে তাদের কল্যাণে আত্মনিবেদিত হতে তাঁর রচনা আমাদেরকে উজ্জীবিত করে। তাঁর সাহিত্যকর্ম আমাদেরকে চিরকাল স্বদেশ প্রেমে অনুপ্রাণিত করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাণী
“জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি হিসেবে সমধিক পরিচিত হলেও তিনি ছিলেন একাধারে কবি, সংগীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকার, গায়ক ও অভিনেতা। তিনি বৈচিত্র্যময় অসংখ্য রাগ-রাগিনী সৃষ্টি করে বাংলা সঙ্গীত জগতকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন। তিনি তাঁর সাহিত্যকর্মের মাধ্যমে মানবতার কথা প্রকাশ করেছেন, অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন। বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে তাঁর কবিতা, গান এক যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করেছেন। উজ্জীবিত করেছেন অবহেলিত ও শোষিত মানুষকে। ফলে তিনি বৃটিশ শাসকদের চক্ষুশুলে পরিণত হন এবং নির্যাতন ভোগ করেন। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম অন্যায়ের বিরুদ্ধে এক চিরকালীন বিদ্রোহের প্রতীক। তাঁর রচনা আমাদেরকে স্বদেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ করে। তিনি মাত্র ২৩ বছরের সাহিত্যিক জীবনে বাংলা সাহিত্যকে করেছিলেন প্রাচুর্যময়। সমাজে শান্তি, সাম্য ও মানবতা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তাঁর স্বপ্ন পূরণে আমাদেরকে আত্মনিয়োগ করতে হবে।
কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর সৃষ্টকর্মের জন্য চিরদিন অমর হয়ে থাকবেন বলে আমি বিশ্বাস করি। আমি তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করি।