“বিবৃতি:”
আমি শামা ওবায়েদ, স্বাধীনতার ঘোষক, সেক্টর কমান্ডার রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে ১৯ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে আমার অবস্থান তুলে ধরছি। প্রথমত, আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিএনপির প্রাক্তন মহাসচিব প্রয়াত কেএম ওবায়দুর রহমানের জন্মস্থান এবং আমার শেষ ঠিকানা ফরিদপুরের নগরকান্দায় ২১ আগস্ট ঘটে যাওয়া সংঘর্ষে একজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার ঘটনায় গণমানুষের আকাংখা পূরণের দল বিএনপির মাননীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের দিক নির্দেশনায় সাংগঠনিক যে সিদ্ধান্ত গৃহীত তাকে আমি পূর্নাঙ্গ সমর্থন জানাই।
পরবত্তী সময়ে ২৪ আগস্ট আমাকে আসামী করে একটি হত্যা মামলায় হয়েছে । সংঘষ এবং পরবত্তী মামলার ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত চাই আমি।
দ্বিতীয়ত, গেলো ১৮ বছর আওয়ামী জাহিলিয়াতির সময় গুম, খুন, জেল, জুলুমসহ সকল প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এমন ধ্বংসযজ্ঞ থেকে পূণরোদ্ধারের জন্য বিএনপির আন্দোলন এখনও চলমান রয়েছে। গেলো জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত গণহত্যাকে উপেক্ষা করে ছাত্রজনতা ও গণতন্ত্রকামী সকল শ্রেণী পেশার মানুষের সমর্থন ও সক্রিয় অংশগ্রহণে প্রবল প্রতিরোধের মুখে ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালিয়ে যায়। যার মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা লাভ করে। গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। দেশ পূণর্গঠন ও সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে তাতে দেশী বিদেশী সবার সমর্থন ও সহযোগিতা অব্যাহত আছে।
যে রক্তের বিনিময়ে যে অর্জন তা এখনও শুকায়নি। এমন পরিস্থিতিতে আমার জন্মস্থান তথা আমার শেষ ঠিকানা ফরিদপুরের নগরকান্দা সাধারন ছাত্রদের সাথে বিএনপি ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এখনও অনেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের পাশে দাড়ানোই এখন আমার এলাকার মানুষের প্রত্যাশা।
এখানে কোন রাজনৈতিক বিভাজন, নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা, মনোনয়ন বিজয় তোড়ন নির্মাণ বা ব্যক্তিকেন্দ্রিক আধিপত্য বিস্তারে শোডাউন কাম্য নয়।
গেলো ২১ আগস্ট ফরিদপুরে সংঘর্ষের ঘটনার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। দলের পক্ষ থেকে আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব আমি চালিয়ে যাচ্ছি। ২১ আগস্টের সংঘর্ষ ও নিহতের ঘটনা আমি ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করছি। এই ঘটনার সাথে জড়িত অনেককেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি ও নামসহ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে সংঘর্ষকারীদের পরিচয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনসহ ফ্যাসিস্ট হাসিনার অবৈধ ক্ষমতার সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য।
তৃতীয়ত, দেশে বিদেশে অবস্থানরত আমার শুভানুধ্যায়ীদের নানা ধরনের উৎকণ্ঠা, উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে আমার নিজের অবস্থান তুলে ধরলাম । সবাইকে দলের সিদ্ধান্ত মেনে চলার অনুরোধ করছি।
সবশেষ: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মাননীয় চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী, গণতন্ত্র পূণ:প্রতিষ্ঠার জন্য পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া,
১/১১ এর অবৈধ সরকারের নির্যাতনের শিকার গুরুতর আহত বিএনপির মাননীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান
দলের, মহাসচিব, স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ, ভাইস চেয়ারম্যানবৃন্দ, উপদেষ্টাবৃন্দ, যুগ্ম মহাসচিববৃন্দ, সাংগঠনিক সম্পাদকবৃন্দ, নির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ, দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, গণতন্ত্র পূণরোদ্ধারে সংগ্রামরত সকল পেশাজীবী সংগঠনসহ দেশে বিদেশে অবস্থানরত সর্বোপরি বিএনপির সাথে আমার সম্পর্ক রক্তের।
যেকোন পরিস্থিতিতে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে দল নির্ধারিত কর্মসূচি বাস্তবায়নে আমি সচেষ্ট থাকবো।
শামা ওবায়েদ।