লক্ষীপুরে একটি ওয়াজ মাহফিলে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে দাওয়াত না দেওয়ায় ওই মাহফিল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফেসবুকে এমন প্রচারের বিষয়ে জানতে চাইলে এ্যানি চৌধুরী বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। আমাকে হেয় প্রতিপন্য করার জন্য এধরণের মিথ্যা প্রচার চালানো হচ্ছে। তিনি এর তীব্র প্রতিবাদ জানান।
এ বিষয়ে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার অনলাইন ভার্সন থেকে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আলমগীর হোসেন বিএনপি নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির নাম ভাঙিয়ে মাহফিলের আয়োজনে বাধা দেয়। এতে মাহফিল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এমন অভিযোগ করেছেন মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি জামাল উদ্দিন কবির ও মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদের খতিব আহছান হাবিবসহ মাহফিল সংশ্লিষ্টরা।
অভিযোগকারী মাহবুবুর রহমান, জামাল উদ্দিন কবির ও আহছান হাবিব জানান, শুক্রবার বিকাল ৩টা থেকে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে আলমগীর কমিশনার বাড়ির সামনে মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদ মাঠে তাফসিরুল কুরআন মাহফিল ও ইসলামী সংগীত সন্ধ্যার কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা ছিল।
বৃহস্পতিবার রাতে আলমগীর কমিশনার এসে মাহফিল বন্ধ রাখার জন্য বলে যান। এ্যানি চৌধুরীকে দাওয়াত না দেওয়ায় তিনি এমন ঘটনা ঘটান। আলমগীর জানিয়েছেন, এ্যানি চৌধুরী তাকে ফোনে জানিয়েছেন মাহফিল বন্ধ করে দিতে। এতে তিনি মাহফিলের প্যান্ডেলের কাপড় খুলে দিয়েছেন, বিদ্যুতের সংযোগ ও মাইকের জন্য লাগানো তার কেটে দেওয়া হয়েছে। এতে বিশৃঙ্খলা এড়াতে মাহফিল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আলমগীর হোসেন বলেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী। মাহফিলে রেজাউলকে অতিথি করা হয়। এছাড়া এলাকার প্রতিনিধি হিসেবে আমাকে প্রতি বছর দাওয়াত দেওয়া হয়। এবার আমাকে কোনো কিছুই জানানো হয়নি। আমি যেহেতু বিএনপির রাজনীতি করি, এজন্য আমাকে বিষয়টি জানাতে পারত। তখন কে বা কাকে রাখা যায় তা নিয়ে সমন্বয় করা যেত। এ্যানি চৌধুরীকেও দাওয়াত দেওয়া যেত। আমি এসব বলেছি। তবে মাহফিলের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে বলেছি।