বেনাপোল: ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে ঢাকাগামী বেনোপোল এক্সপ্রেস ট্রেন নিয়ে। বেনাপোল থেকে মাত্র ৩ ঘণ্টায় ঢাকা যাওয়া যাবে এই আনন্দে ভাসছে বেনাপোলবাসী। র্দীঘদিনের কাঙ্খিত স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে বেনাপোল অঞ্চলের মানুষের। এক্সপ্রেস ট্রেনটি আগামী পহেলা ডিসেম্বর থেকে ঢাকা-বেনাপোল-নড়াইল রুটে চলাচল করবে।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) এমন ঘোষণা পেয়ে খুশিতে মেতে উঠেন বেনাপোলবাসী।
গত জুলাই মাসে বেনাপোল থেকে নড়াইল হয়ে ট্রেনটি ঢাকায় যাওয়ার কথা ছিল। রাজনৈতিক ডামাডোলের কারণে পিছিয়ে যায় উদ্বোধনের দিনক্ষণ। পাসপোর্ট যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে রেল কর্তৃপক্ষ দিনে দুই বেলা ট্রেনটি ঢাকা-বেনাপোলের সাথে পদ্মাসেতু হয়ে চলাচলের ব্যবস্থা নেয়।
এদিকে দুই বেলা ট্রেন চলাচলের খবরে মাথায় হাত দিয়েছে পরিবহন ব্যবসায়ীরা। যাত্রী কমে যাবার আশংকায় ঢাকার বিকল্প রুটের চিন্তা করছেন তারা।
বেনাপোল ট্রেন স্টেশনের ম্যানেজার সাইদুজ্জামান জানান, ‘মাত্র ৩ ঘণ্টায় বেনাপোল থেকে ঢাকায় পৌঁছাবে এক্সপ্রেস ট্রেন। বেনাপোলের সাথে ঢাকার দূরত্ব খুব বেশি না।’
তিনি বলেন, ‘স্বল্প সময়ে ট্রেনে আরামদায়ক ভ্রমণে যাত্রীর সংখ্যা যেমন বাড়বে তেমনি আমদানিকৃত পণ্য এবং স্থানীয় কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য কম সময়ে যাবে ঢাকায়। ফলে নানা দিক থেকে উপকৃত হবেন এ অঞ্চলের মানুষ।’
তিনি আরও বলেন, ‘ট্রেনটি সকাল ৬টায় ঢাকার কমলাপুর ছেড়ে বেনাপোল পৌঁছাবে সকাল ৯টায়। একঘণ্টা পর সকাল ১০টায় বেনাপোল ছেড়ে দুপুর ১টায় কমলাপুর পৌঁছাবে। দুপুর ২টায় পুনরায় কমলাপুর থেকে বেনাপোলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে বিকাল ৫টায় বেনাপোল পৌঁছাবে। ট্রেনটি সন্ধ্যা ৭ টায় বেনাপোল থেকে রওনা দিয়ে রাত ১০ টায় ঢাকা পৌঁছাবে ‘
এদিকে ট্রেনটি উদ্বোধনের আগেই সুবিধাবঞ্চিত যশোরবাসী অতিরিক্ত একটি ট্রেনের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে। যশোর উন্নয়ন পরিষদের ব্যানারে যাত্রী কল্যাণ সংগঠনের লোকজন ইতোমধ্যে যশোর রেল স্টেশনে কয়েক দফা বিক্ষোভ করেছে। সংগঠনের নেতাদের দাবি, যশোরবাসীকে রেল পরিষেবার বাইরে রেখে ১৫ কিলোমিটার দূরে পদ্মবিলা নামক স্থানে করা হয়েছে রেল স্টেশন। ঢাকা যেতে হলে যশোরের লোকজনকে পদ্মবিলা স্টেশনে যেতে হবে।
যশোর রেল বাস্তবায়ন কমিটির নেতা ইকবাল কবির জাহিদ বলেন, ‘যশোর ব্রিটিশ আমলের পুরাতন জেলা শহর। বেনাপোল বৃহত্তম স্থল বন্দর ছাড়াও যশোর সেনানিবাস, এমএম কলেজ, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও যশোরে রয়েছে সবচেয়ে বড় মটর ও মটর সাইকেল পার্টসের ব্যবসা। প্রতিদিন কয়েক হাজার যাত্রী যশোর থেকে ঢাকায় যাতায়াত করেন। বৃহৎ জনগোষ্ঠীর কথা মাথায় রেখে যশোরের সাথে আরও দুটি ট্রেন যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে। বেনাপোলের পাশাপাশি চুয়াডাঙ্গা বা দর্শনার সাথে একটি ট্রেন চালু করলে যশোরের যাত্রীসহ গেদে বর্ডার হয়ে ভারতগামী পাসর্পোট যাত্রী ও ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর ও কালিগঞ্জ এলাকার যাত্রীরা উপকৃত হবেন।’