বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘শপথ নিয়েছি, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আধিপত্যবাদকে রুখে দেবো। আমরা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনে আরো বেশি শক্তিশালী আন্দোলন করব।’
বৃহস্পতিবার ‘৭ই নভেম্বর বিপ্লব সংহতি দিবস’ উপলক্ষে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরস্থ চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের তিনমাস পূর্ণ হয়েছে, তারা কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে কি-না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অবশ্যই, অবশ্যই, অবশ্যই তারা অনেকগুলো কাজ করেছে। আমরা বিশ্বাস করি, তাদেরকে আমরা যদি সকলে সহযোগিতা করি এবং উপযুক্ত সময়ে একটা যৌক্তিক নির্বাচন দিতে সক্ষম হয় তাহলে এই জাতির সামনে যে চ্যালেঞ্জ আছে, সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা সম্ভব হবে।’
তিনি বলেন, ‘আজকের এই দিনে সিপাহী জনতা, তারা দ্বিতীয় বারের মতো আধিপত্যবাদকে ও তাদের দোসরদের পরাজিত করে। যারা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল, তাদেরকে পরাজিত করে ৭১ সালে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে সামনে নিয়ে আসে। এরপর বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক সূচনা হয়, সেই রাজনীতি ছিলো বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদের রাজনীতি, সেই রাজনীতি ছিলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের রাজনীতি। সেই রাজনীতি ছিলো বাংলাদেশের আধিপত্যবাদ পরাজিত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার রাজনীতি।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে আল্লাহর অশেষ রহমতে তৃতীয় বারের মতো এই আধিপত্যবাদকে পরাজিত করা হয়। আজকে ৭ই নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি। আমরা শপথ নিয়েছি, ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে আধিপত্যবাদকে রুখে দেবো।’
তিনি বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিবাদ সরকার বিএনপিকে ধ্বংস করবার জন্য নানাভাবে ষড়যন্ত্র করেছে, নির্যাতন করেছে। এই আওয়ামী লীগ প্রায় ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। ৬০০ মানুষকে গুম করে, হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলো।’
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, আব্দুস সালাম আজাদ, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিএনপি এবং এর অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।