ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই বিবেচনা করে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
রণধীর জয়সোয়াল বলেন, ‘আমরা আগেই বলেছি, তিনি (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশের একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। সুতরাং এ বিষয়ে আমাদের অবস্থান এটাই।’
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে একটি বিবৃতি দেয় আওয়ামী লীগ। ওই বিবৃতিতে শেখ হাসিনাকে ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’ উল্লেখ করা হয়। এ প্রসঙ্গ তুলে একজন ভারতীয় সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ভারত শেখ হাসিনাকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী, নাকি ‘নির্বাসিত প্রধানমন্ত্রী’ হিসেবে বিবেচনা করছে। তার জবাবে ভারত সরকারের ওই অবস্থান তুলে ধরেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল।
ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে চলে যান। এর পর থেকে তিনি নয়াদিল্লিতে আছেন। তবে তাঁকে কোন মর্যাদায় রাখা হয়েছে, সে বিষয়ে ভারত সরকারের তরফ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
এদিকে চট্টগ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ও তাদের সম্পদের ওপর হামলার পেছনে ‘চরমপন্থিরা’ রয়েছে বলে মনে করে ভারত। এ ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি সংখ্যালঘুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জোরালো পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।