ঢাকা-২৯ আগস্ট/২০২৪ ইং: আজ রাজধানীর উত্তরায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের উদ্যোগে ‘উত্তরা সী শেল রেস্টুরেন্টে’ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শাহাদাত বরণকারী ২৫ পরিবারের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সভাপতি মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম সঞ্চালনায় মত বিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম। বক্তব্য রাখেন এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সাবেক ভাইস- চ্যান্সেলর ড. অধ্যাপক আবুল হাসান সাদেক,ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন, মাওলানা মহিব্বুল্লাহ ও মু. আতাউর রহমান সরকার,বিশিষ্ট ব্যাংকার নূরুল ইসলাম,হলিচাইল্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আশরাফুল হক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ি আমানউল্লাহ সহ ২৫ শহীদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ।
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ২৫ শহীদ পরিবারের সদস্যদের সাথে মতবিনিময়কালে তাদের সাথে একান্তে কথা বলেন। তাদের পারিবারিক সমস্যার কথা শোনেন এবং সেসব সমস্যা সমাধানে সাধ্যমত সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি শহীদ পরিবারকে গভীর সহানুভূতি প্রকাশ করে এবং শান্তনা দেন। সেক্রেটারি জেনারেল তাদের সাবরে জামিল ধারণের তাওফিক এবং সাম্প্রতিক আন্দোলনে নিহতদের শাহাদাত কবুলিয়াত, আহত চিকিৎধীনদের আশু আরোগ্য কামনা, দেশ ও জাতির কল্যাণের জন্য মহান আল্লাহ তা’য়ালার দরবারে দোওয়া ও মোনাজাত করেন। পরে তিনি শহীদ পরিবারের হাতে নগদ অর্থ তুলে দেন।
সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, ছাত্র-জনতার অনেক ত্যাগ ও কোরবানীর মাধ্যমে আমরা দ্বিতীয় বারের মত বিজয় অর্জন করেছি। তাই এদেশে স্বৈরাচার,ফ্যাসীবাদ ও বাকশালীদের স্থান হবেনা। কোন অপরাধী, জুলুমবাজ, টেন্ডারবাজ, চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজদের অপতৎপরতা সংগ্রামী ছাত্র-জনতা কোন ভাবেই মেনে নেবে না। নতুন করে এদেশে স্বৈরাচারি,বিভাজন ও প্রতিহিংসার রাজনীতি কেউ শুরু করলে তাদেরও শেখ হাসিনার ভাগ্যবরণ করতে হবে। তিনি রাজনীতি নয় বরং মানুষের পাশে দাঁড়াতে দলমত নির্বিশেষে সকলের প্রতি আহবান জানান।
তিনি বলেন, যারা সাম্প্রতিক আন্দোলনে স্বজন হারিয়েছেন আমরা স্বজন ফিরিয়ে দিতে পারবো না; পারবো না স্বামী হারানো বিধবাদের স্বামী ফিরিয়ে দিতে বরং আমরা সব সময় পাশে থাকার চেষ্টা করবো। ছাত্ররা রাজপথে তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছেন জাস্টিস তথা ন্যায়- বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য। কিন্তু জাস্টিস প্রতিষ্ঠার অদ্বিতীয় মাধ্যম হচ্ছে কুরআন-সুন্নাহর যথাযথ অনুসরণ। এজন্য বাস্তবজীবনে ইসলামী অনুশাসন মেনে চলার কোন বিকল্প নেই। আর দেশে ইসলামী আদর্শ বাস্তবায়ন করা গেলে এদেশে জাস্টিস প্রতিষ্ঠিত হবে। তিনি ন্যায়- ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় সকলকে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলতে দলমত নির্বিশেষে সকলের প্রতি আহবান জানান।