বন্যাকবলিত এলাকায় প্রায় ১১ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছেন। বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হলে আরও এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়তে পারে বলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলোর কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন ।
দেশের চলমান বন্যায় ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, কক্সবাজার, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও মৌলভীবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় বন্যার কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অনেক স্থানে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে পানি ওঠায়, বৈদ্যুতিক মিটার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ও খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
বন্যাকবলিত এলাকার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলোর কর্মকর্তারা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ১১ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে ফেনীতে পুরোপুরি বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হলে আরও এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়তে পারে। এখন পর্যন্ত আরইবির আর্থিক ক্ষতি হয়েছে সাত কোটি ৯৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী মহাব্যবস্থাপক আকাশ কুসুম বড়ুয়া বলেন, ১৩টি সাবস্টশনের সবকটি বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে চার লাখ ৪১ হাজার ৫৪৬ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন অবস্থায় আছেন।
নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সিনিয়র মহাব্যবস্থাপক জাকির হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, প্রায় আড়াই লাখ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। আমাদের অফিসের ভিতরেও কোমর সমান পানি। সুত্র: মানব জমিন