ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, হামলা-মামলা ও গুলির মাধ্যমে বিরোধী দলকে দমনের জন্য অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে সরকার। এসব করে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনেও দেশের মানুষকে ভোট কেন্দ্রে নিতে পারেনি সরকার।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর মগবাজারে বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বিষয়ক সহ-সম্পাদক হৃদরোগে আক্রান্ত ডা. পারভেজ রেজা কাকনের শারীরিক খোঁজ-খবর নিতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ড. মঈন খান অসুস্থ কাকনের শারীরিক ও পারিবারিক অবস্থান খোঁজ নেন। এরপর বিকেলে রাজধানীর ধানমণ্ডিস্থ ইবনে সিনা হাসপাতালে গিয়ে অসুস্থ বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার শারীরিক অবস্থা খোঁজ-খবর নেন ড. আব্দুল মঈন খান।
মঈন খান বলেন, ‘দেশের মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে শাসন করা ও ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকার নীতি ভুল। সরকার এটি বুঝাতে পারছে না।
তারা বিরোধী দল দমনসহ বিএনপিকে ভাঙতে ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছে।’
মঈন খান বলেন, ‘যেভাবে আমাদের নিরীহ ও নিরস্ত্র নেতাকর্মীদের ওপর সরকারের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কিভাবে টিয়ারশেল ছুঁড়েছে। অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এটা সকলেই জানেন।
তবুও নেতাকর্মীরা কিন্তু থেমে যাননি। তারা আন্দোলন চালিয়ে গেছেন। দল গোছানো ও সংগঠন পুনর্গঠন করা চলমান প্রক্রিয়া। রাজনীতি কোনো কাপড় নয় যে, সাজিয়ে গুছিয়ে আলনা বা আলমারিতে রাখা যায়। সরকারকে বলব- প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহার করে একটি আদর্শের রাজনীতিতে ফিরে আসুন।
বিএনপি নিয়মতান্ত্রিকভাবে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করব ইনশাআল্লাহ।’
উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে মঈন খান বলেন, ‘অতীতে কখনোই বাংলাদেশে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হয়নি। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সেটা বাদ দিয়ে তা দলীয় প্রতীকে শুরু করেছে। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে জনগণ আওয়ামী লীগকে বর্জনের পর আওয়ামী লীগ বুঝতে পেরেছে যে, দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করা হলে দেশের সামাজিক কাঠামোটা ভেঙে যাবে। নিজেদের নৌকা নিজেরাই ডুবিয়েছে। সুতরাং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ ছাড়া এবং এই সরকার ও তাদের সাজানো নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাব না। তবে গ্রামে-গঞ্জে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কে যাবে কে যাবে না সেটা তো বিএনপি দলীয়ভাবে দেখতে পারে না।’