ঢাকা: গণঅধিকার পরিষদ একাংশের আহ্বায়ক ও দলীয় সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ড. রেজা কিবরিয়া। তিনি বলেছেন, ‘আমি গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করছি এবং আমার পদত্যাগপত্র কেন্দ্রীয় কার্যনিবাহী পরিষদ বরাবর জমা দিয়েছি। এছাড়া আমি গণঅধিকার পরিষদের দলীয় সদস্যপদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছি।’ দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কর্নেল (অব) মিয়া মসিউজ্জামান ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলেও জানান তিনি।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) রাতে রেজা কিবরিয়া স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়েছে। গত জুন মাসে (২০২৩ সালের) নুরুল হক নুর ও তার অনুসারীরা রেজা কিবরিয়াকে বাদ দেওয়ার পর থেকে গণঅধিকার পরিষদ দুভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। একটি অংশের নেতৃত্বে ছিলেন রেজা কিবরিয়া।
নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘আমি ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ছেড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে যোগ দেই এবং ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে গণঅধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার পূর্বে আমি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সরকারি নীতি নিয়ে কাজ করি। এক পর্যায়ে আমার মনে হয়েছে যে, নিজ দেশের জনগণের জন্য কাজ করার সময় এসেছে। এ ধরনের সুযোগ হয়তো ভবিষ্যতে নাও আসতে পারে, কিন্তু আমার বাবা শাহ এ এম এস কিবরিয়ার মতো আমি জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চাই।’
তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘বাংলাদেশে যারা গণতন্ত্র, সামাজিক ন্যায়বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে আমি তাদের সাথে কাজ করে যাবো। আমি আমাদের তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে অনেক আশাবাদী। আমি মনে করি তরুণরা বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনা সম্পর্কে ধীরে ধীরে সচেষ্ট হয়ে উঠছে।’
কিবরিয়ার ভাষ্য, ‘আমি দেশের মানুষ ও গণমাধ্যম যারা আমাকে বিগত মাসগুলোতে সাহস যুগিয়েছেন ও সহযোগিতা করেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আশা করি আগামী দিনগুলোতে আমরা দেশে মুক্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একযোগে কাজ করে যাবো।’
দলের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য গণঅধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দের প্রতি গভীরভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন রেজা। তিনি বলেন, ‘গত ২ বছর ২ মাস আপনাদের সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমি অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি।’