মনিরুল ইসলাম : সিলেট-৬ আসন (গোলাপগঞ্জ বিয়ানীবাজার) -কে ঘিরে রাজনীতির মাঠ এখন উত্তপ্ত। ভোটের ডামাডোল শুরুর আগেই, নির্বাচনী হাওয়া টের পাওয়া যাচ্ছে প্রতিটি ইউনিয়ন, গ্রাম ও পাড়া-মহল্লায়। বর্তমানে সক্রিয় সব দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা চালিয়ে যাচ্ছেন গণ সংযোগ। বিশেষ করে এ আসনে অনেকটা সুবিধাজনক অবস্থানে থাকা বিএনপির একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশি মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। এর মধ্যে সম্প্রতি সাড়া ফেলেছেন বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী চিত্রনায়ক হেলাল খান। তিনি একজন সজ্জন ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ।
তিনি নিজ সংসদীয় এলাকার মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন, প্রতীয়মান করছেন নিজেকে এ আসনে ধানের শীর্ষের অন্যতম দাবিদার হিসেবে।
সাম্প্রতিক সময়জুড়ে গোলাপগঞ্জ- বিয়ানীবাজারের গ্রামেগঞ্জে, হাটে বাজারে, পাড়া-মহল্লা, স্কুল-কলেজে ও মাদ্রাসায় তাকে নিয়মিত দেখা যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ, তরুণ ভোটার এবং স্থানীয় বিশিষ্টজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা ও উঠান বৈঠকের মাধ্যমে তিনি গড়ে
তুলছেন শক্তিশালী জনসম্পৃক্ততা। তার সফরসূচিতে
এলাকাবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নজর কাড়ছে সবার। হয়ে উঠেছেন জনবান্ধন একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে।
সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন সভা-সমাবেশে তিনি তুলে ধরছেন বিএনপির ৩১ দফার কথা, যার মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্র মেরামতের যাবতীয় উপাদান। পাশাপাশি নিজ এলাকার উন্নয়ন-চিত্র, ধর্মীয় সম্প্রীতি,রাজনৈতিক সৌহার্দ্য, নিজ
এলাকা নিয়ে উন্নত ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং যুব সমাজের উন্নয়নে তার নিজস্ব ভাবনাও শোনাচ্ছেন। যা মানুষ সাদরে
গ্রহণ করছে।
রাজনৈতিক অবস্থান : জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক চিত্রনায়ক হেলাল খান। দক্ষ ও বিচক্ষণ নেতৃত্বে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের তারকাখ্যাতি ও রাজনৈতিক দায়িত্ববোধকে একসূত্রে গেঁথে হেলাল খান জাসাসকে একটি আধুনিক, সক্রিয় ও সুসংগঠিত সামাজিক শক্তিতে রূপান্তর করছেন।
গত এক বছরে তার নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় কমিটি পুনর্গঠন, জেলা ও মহানগর পর্যায়ে কার্যকর নেতৃত্ব নির্বাচন, এবং নানা সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করে সংগঠনটি
ব্যাপক আলোচনায় এসেছে।
হেলাল খান বলেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী জাসাস কখনোই কেবল সাংগঠনিক শক্তি নয়, এটি একটি সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের সংগঠন ।” তিনি আরো বলেন আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ওপর আস্থা রেখে এবং আগামী দিনের রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে
চাই। “তৃণমূলের বিশ্বাস ও আস্থার প্রতীক রাজনীতির মাঠে দীর্ঘ সময় ধরে পরীক্ষিত হেলাল খান গঠনতন্ত্রকে সামনে রেখে প্রতিটি কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তিনি বিশ্বাস করেন দলীয় গঠনতন্ত্রের মূল চেতনা হলো জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষা এবং সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি।” এই দর্শনকে ধারণ করে তিনি তৃণমূল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করেছেন এবং প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল থেকে শুরু করে শহরের সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছেন। তার নেতৃত্বে সিলেট-৬ আসনের মানুষ এক নতুন ধারা দেখতে শুরু করেছে, যেখানে দলীয়
সংকীর্ণতা নয়, বরং জনগণের স্বার্থই মূল অগ্রাধিকার। সাধারণ মানুষের
প্রত্যাশা: সিলেট-৬ আসনের সাধারণ মানুষ হেলাল খানের মধ্যে একজন পরিশ্রমী, নিবেদিতপ্রাণ ও মানবিক নেতাকে খুঁজে পেয়েছেন। তিনি সর্বদা গরিব- দুঃখী, মেহনতি ও প্রান্তিক জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে উন্নয়ন, কৃষি ও কৃষকের অধিকার রক্ষা, তরুণদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, এবং গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে তার সুস্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি জনগণের মধ্যে আশা জাগিয়েছে। তরুণ প্রজন্য মনে করছে, তাদের স্বপ্ন পূরণে এবং দক্ষ মানবসম্পদ গঠনে হেলাল খানই হতে পারেন সবচেয়ে উপযুক্ত নেতৃত্ব। আন্দোলন-সংগ্রামের রাজপথে নেতৃত্ব : হেলাল খান কেবল নির্বাচনের সময় নয়, বরং দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক অধিকারের সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছেন। তিনি কখনো আপোষের রাজনীতিতে বিশ্বাসী।
নন বরং সর্বদা জনগণের ন্যায়সংগত দাবির পক্ষে সোচ্চার ছিলেন। রাজনৈতিক জ দুঃসময়ে তিনি তৃণমূল কর্মীদের
মনোবল জোগান এবং দলকে সঠিক পথে পরিচালনা করেন। এ কারণেই তৃণমূল নেতাকর্মীরা তাকে তাদের সত্যিকারের অভিভাবক হিসেবে মানেন। সাংগঠনিক
বৃদ্ধির
কর্মপরিকল্পনা: একজন দরদী রাজনীতিবিদ হিসেবে হেলাল খান
সিলেট-৬ আসনের কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, শক্তিশালী সাংগঠনিক কাঠামোই জনগণের অধিকার রক্ষার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। এজন্য তিনি প্রত্যেকটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে সক্রিয় কমিটি গঠন, নতুন প্রজন্মকে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করা এবং নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন। উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি: হেলাল খান নির্বাচনে বিজয়ী হলে সিলেট-৬ আসনকে একটি উন্নত, আধুনিক ও সমৃদ্ধ অঞ্চলে পরিণত করার জন্য যে কয়েকটি অঙ্গীকার করেছেন সেগুলো হলো:
শিক্ষা খাতের উন্নয়ন: প্রত্যেকটি গ্রামে মানসম্পন্ন স্কুল- কলেজ ও কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন। স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণ: উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে আধুনিক হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন।
কৃষি খাতে সহায়তা: কৃষকদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ, আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার এবং ন্যায্যমূল্যে ফসল বিক্রির নিশ্চয়তা।
যুবসমাজের কর্মসংস্থান: আইটি পার্ক, শিল্পাঞ্চল এবং ছোট- বড় ব্যবসার সুযোগ তৈরি করে তরুণদের স্বাবলম্বী করা। অবকাঠামো উন্নয়ন: গ্রামীণ সড়ক, সেতু, বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। জনগণের রায়ের অপেক্ষায় সিলেট-৬ আসনের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে স্পষ্ট এলাকার জনগণ আজ একটি প্রকৃত জননেতাকে খুঁজছে, যিনি তাদের দুঃখ-দুর্দশায় পাশে থাকবেন, তাদের অধিকার রক্ষা করবেন এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়বেন। সাধারণ মানুষের মুখে এখন একটি নামই উচ্চারিত হচ্ছে হেলাল খান বলে এলাকার লোকজন মনে করেন।