মো. মহসিন হোসেন: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৫ (বরিশাল সদর) আসনে ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে চান বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ।
দীর্ঘদিন আন্দোলন সংগ্রাম করে পরিচিতি লাভ করা রহমাতুল্লাহ ইতোমধ্যে এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ করছেন। দীর্ঘদিন এই বিএনপি নেতা দলের সকল কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন নিয়মিত। এছাড়া প্রায় প্রতিদিন প্রেস ক্লাব-ডিআরইউসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে দলের শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। দলের দুর্দিনে ব্যাপক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে গ্রেপ্তার-মামলা-হামলার শিকার হয়েও পিছপা না হওয়ার প্রশংসাও রয়েছে সর্বস্তরে।
আবু নাসের রহমাতুল্লাহ দেশনিউজকে বলেন, দেশ হাসিনমুক্ত হয়েছে। তবে চূড়ান্ত বিজয় এখনো অর্জন হয়নি। দ্রুত একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে পারলে দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে।
তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয়ের মাধ্যমে দেশর মানুষ পুরোপুরি মুক্ত হবে বলে আশা করি।।
কি কারণে মনোনয়ন প্রত্যাশী জানতে চাইলে তিনি বলেন, বরিশাল-৫ আসনে বাকি যারা মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন তারা সকলেই সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা। কিন্তু আমার এলাকার জনগণ সিটি করপোরেশনের বাইরের দশটি ইউনিয়নের বাসিন্দা থেকে এমপি নির্বাচিত করতে চায়।
তিনি বলেন, আমি চরমোনাই ইউনিয়নের বাসিন্দা হওয়ায় পার্শ্ববর্তী ১০টি ইউনিয়নের ভোটাররা আগ্রহ করে ভোট দেবেন। এছাড়া এই আসনের জণগন ধানের শীষে সবসময় ভোট দিয়ে আসছে। এই আসন ধানের শীষের ঘাঁটি। তারা মিডিয়ার কল্যাণে বিগত দিনে আমাকে আন্দোলন-সংগ্রামের প্রথম কাতারের একজন কর্মী হিসেবে চেনে।
আবু নাসের বলেন, দল মনোনয়ন দিলে নেতা-কর্মী-জনগণ বিপুল উদ্দীপনার সাথে আমার জন্য কাজ করবে এবং ভোট দিয়ে নির্বাচন করে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চূড়ান্ত বিজয় অর্জনে অবদান রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।
মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে কতটুকু আশাবাদী জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমার আন্দোলন-সংগ্রামের ব্যাপারে অবহিত। তাছাড়া মনোনয়ন বোর্ডে যারা থাকবেন তারা ব্যক্তিগতভাবে আমার বিগত দিনের অবদানের সম্পর্কে জানেন। তারা সকলেই যদি বিগত ১৫ বছরের কর্মকাণ্ড বিবেচনা করেন তাহলে অবশ্যই আমাকে মনোনয়ন দেবেন। তবে তিনি বলেন, সকল নির্বাচনী এলাকায় দল যাকে মনোনয়ন দেবে সকল মতভেদ ভুলে গিয়ে তাদের বিজয়ী করা আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব।