রাজধানীর শাহবাগে স্পেশালাইজড একটি হাসপাতাল পড়ে আছে, সেবা দিতে পারছে না। কিন্তু কেন, দেশের রোগীদের মনে এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে ২বছর।
রোগীদের দাবি, চিকিৎসার জন্য চায়নার কুমিং আর চায়নার অর্থায়নে নতুন স্পেশালাইজড হাসপাতাল শুরু করার আগে রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় ৩.৮ একর জায়গায় কোরিয়ার অর্থায়নে নির্মিত ১৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল ফুল অপারেশনে নিয়ে যান দ্রুত। আগের সরকার কি করছে সবাই জানে, পুরাতন কিচ্ছা সাধারণ মানুষ আর শুনতে চায় না।
রোগীরা জানান, সব রোগীতো চায়না যেতে পারবে না। আর নতুন স্পেশালাইজড হাসপাতাল বানিয়ে অপারেশনে যেতে মিনিমাম ৩ থেকে ৫ বছর সময় লাগবে। যে হাসপাতালটি রেডি আছে এটায় ৭৫০ শয্যা ও প্রতিদিন ৩ হাজার মানুষকে প্রতিদিন চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কেনো এ হাসপাতাল এখনো ফুল অপারেশনে নিয়ে যেতে পারেনি, বিষয়টা খুবই দুঃখজনক।
দেশেই কম খরচে বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা দিতে দুই বছর আগে চালু হয় বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) ‘সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল’। তখন বলা হয়েছিল- এই হাসপাতাল চালু হলে রোগীদের আর বিদেশ যেতে হবে না। দেশেই মিলবে কম খরচে ভোগান্তিহীন চিকিৎসাসেবা।
উদ্বোধনের দুই বছর পেরিয়ে গেলেও নানা সংকটে হাসপাতালটি পুরোপুরি চালু হয়নি। কোরিয়া থেকে আনা উন্নতমানের যন্ত্রপাতি অকেজো পড়ে রয়েছে। হাসপাতালের পাঁচটি স্পেশালাইজড সেন্টার হলো- ইমার্জেন্সি ও ট্রমা সেন্টার, কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ সেন্টার, হেপাটোবিলিয়ারি অ্যান্ড প্যানক্রিয়েটিক ডিজিজ, হেপাটোলজি অ্যান্ড লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট সেন্টার, কিডনি ডিজিজ অ্যান্ড ট্রান্সপ্ল্যান্ট সেন্টার এবং মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। এতে প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে পারবে তিন হাজার রোগী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় নির্মিত হাসপাতালটির শয্যা সংখ্যা ৭৫০। এর মধ্যে আছে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ ১০০টি আইসিইউ ও ১০০টি ইমার্জেন্সি বেড। হাসপাতালটিতে রয়েছে ৯টি ফ্লোর ও তিনটি বেজমেন্ট। আছে আইটি বেইজড, মাল্টিডিসিপ্লিনারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস।
আন্তর্জাতিক মানের মডিউলার অপারেশন থিয়েটার রয়েছে ১১টি। সেখানে উন্নত মানের সার্জারিসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন করা হবে। সুবিস্তৃত লবি, রিসেপশনের সাথে আরও রয়েছে সম্মেলন কক্ষ। হাসপাতালের ভেতরে রয়েছে একটি কনভেনিয়েন্স শপ, ব্যাংকিং সুবিধা, ফার্মেসি, ৩৫০ সিটের উন্নত কিচেনের আওতায় তিনটি ক্যাফেটেরিয়া।
উন্নত লন্ড্রি হাউসসহ কার পার্কিংয়ের সুবিধাও রাখা হয়েছে। এতে একটি ভিআইপিসহ ১৬টি এলিভেটর, একটি এস্কেলেটর, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থাপনা, হিটিং, ভ্যান্টিলেশন, এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেম, সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে।
আছে মেগা হসপিটাল ইনফরমেশন সিস্টেম’, যার আওতায় রোগীদের ডিজিটাল পদ্ধতিতে ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। ভিভিআইপি ও ভিআইপি কেবিনসহ রাখা হয়েছে অন্যান্য আইসোলেটেড কেবিন, সব ধরনের আইসিইউ ও সিসিইউ।
রোগীরা দাবি করেছেন নিজেরা ম্যানেজ করতে না পারলে যারা ইনভেস্টমেন্ট করেছে সেই কোরিয়াকে ফুল ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব দিয়ে দেওয়া হউক।
তথ্য সুত্র: https://www.facebook.com/hellomasum