‘তারেক রহমানের নির্দেশে সংখ্যালঘুদের ঘর-বাড়ি- সম্পদ রক্ষায় বিএনপি নেতাকর্মীরা নিয়োজিত ছিল’
৫ আগস্টের পর তারেক রহমানের নির্দেশে সং্খ্যালঘু পরিবারদের বাড়িঘর ও সম্পদ পাহারা দিয়ে নিরাপত্তা দিয়েছিল বিএনপির কর্মীরা বলে জানিয়েছেন বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো: রহমাতুল্লাহ। তিনি বরিশাল সদর উপজেলা বিএনপি’র ১ নং সদস্যও।
গত বৃহস্পতিবার ( ৩ এপ্রিল) সদর উপজেলার চাঁদপুরা ও চরমোনাই ইউনিয়নের পৃথক দুটি কীর্তন অনুষ্ঠানে অতিথী হিসেবে এ কথা বলেন তিনি।
এসময় আবু নাসের বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে সংখ্যালঘুরা নিরাপত্তায় দিনযাপন করে। অথচ বিগত ১৫ বছরে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের দোসররা হিন্দু সম্প্রদায়ের সাড়ে ৩ হাজার বসতঘরে হামলা-ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালিয়েছে। যা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট দপ্তরে নথিভুক্তও রয়েছে। এছাড়া ঐসব ঘটনায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা জড়িত বলেও প্রাথমিক তদন্তে সত্যতাও মিলেছে।
তিনি আরও বলেন, দেশের কক্সবাজার ও ব্রাম্মনবাড়িয়াসহ বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর ক্রমাগত হামলা ও দাঙ্গার পিছনেও আওয়ামী লীগের দোসররা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত রয়েছে বলে পুলিশের তদন্তে উঠে আসে।
নাসের বলেন, কোন বিশেষ ধর্মের লোকেরা তারা কোন বিশেষ দলের হতে পারে না। তারা ভোটের অধিকার পেলে তাদের পছন্দ মত ভোট প্রদান করবেন। আগামী দিনে সকল ধর্মের লোকেরা নির্ভয়ে যে দলকে ইচ্ছা সে দলকেই ভোট দিতে পারবে।
তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে সংখ্যালঘু পরিবারগুলো নিরাপদে থাকে। তাদের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করা হয়। আগামীতে ক্ষমতায় গেলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জীবনমান উন্নয়নে পাশে থাকবে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। এসময় তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান। একইসাথে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তিতে দোয়া কামনা করেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন মন্দির কমিটির সভাপতি পলাশ সোমাদ্দার, সহ-সভাপতি বিজয় মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক মিলন গোলদার, কোষাধ্যক্ষ উজ্জ্বল মিস্ত্রী, ইউনিয়ন বিএনপি’র যুগ্ন আহবায়ক মোশারেফ হোসেন, ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আমান উল্লাহ আমান, ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন ও ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম ঢালী, চরমোনাই শ্রী শ্রী হরি বাড়ুর সেবা আশ্রম মন্দিরের সভাপতি রাদেস্মম রায়, সাধারণ সম্পাদক অনুব বসু প্রমুখ।