ঢাকা : কাল শনিবার চ্যানেল আইতে অচেনা মাইক্রোফোন
রাত সাড়ে বারোটায় প্রচারিত হবে।
চ্যানেল আইয়ে প্রচারিত ‘অচেনা মাইক্রোফোন অনুষ্ঠানের অতিথিরা প্রথাগত কোন শিল্পী না হলেও তারা অসাধারণ গান করেন. ছবি আঁকেন ও বাদ্যযন্ত্র বাজান। ইতিমধ্যে এ অনুষ্ঠানের ৮টি পর্ব প্রচার হয়েছে। উক্ত পর্বগুলোয় উঠে এসেছে এসব শিল্পীর গান ও আঁকা ছবিসহ তাদের শিল্পী হয়ে ওঠার গল্প। পরবর্তী পর্বের অতিথি দারুণ সম্ভাবনাময় শিল্পী খুশবুন বিন্দু। তিনি একজন সহজাত কণ্ঠশিল্পী ছোটবেলা থেকেই তার গানের গলা চমৎকার। বিন্দু বলেন, বাবা খলিলুর রহমান ছিলেন বিভিন্ন গানের মুগ্ধ শ্রোতা। মাঝেমধ্যে হারমোনিয়াম নিয়ে গাইতেও পারতেন। এবং বাবার সংগ্রহে দেশী-বিদেশী নানারকম গানের অডিও ক্যাসেট ও সিডি ছিলো বাবার মতো একসময় আমিও গান শোনার পোকা হয়ে উঠলাম। গান শুনতে শুনতেই গাওয়ার চেষ্টা। আমার গানের প্রথম শ্রোতা এবং সমালোচক বাবা-মা। একসময় খেয়াল করলাম যার গান শুনছি আমি তার মতো গাইতেও পারি! এভাবেই চর্চায় থাকলাম। কিন্তু গান গাইতে হলে তো এর গ্রামার জানতে হয়। তাই বাবা আমাকে নিয়ে তার বন্ধু কবি ও শিল্পী হাসান মাহমুদ আঙ্কেলের কাছে গেলেন। তিনি আমার গান শুনে মুগ্ধ হয়ে বললেন, বিন্দুকে আমিই শুধু না ওকে গান শেখাবেন শ্রদ্ধেয় বশীর আহমেদ। একদিন হাসান আঙ্কেল নিয়ে গেলেন মোহাম্মদপুরে শ্রদ্ধেয় শিল্পী বশীর আহমেদ স্যারের বাসায়। সেই কিশোরী বয়সে তার কাছে কিছুদিন তালিম নিয়েছি। এরপর দীর্ঘদিন লেখাপড়া নিয়ে ব্যস্ত হওয়াতে গানের নিয়মিত চর্চা বন্ধ থাকলেও অনিয়মিত হলেও চর্চায় থেকেছি। কারণ গানটাকে আমি মনেপ্রাণে ভালোবাসি। কেমন গাইতে পারি তা শুধু শ্রতারাই বলবেন। হাসান মাহমুদের কাছেও লোক সঙ্গীতে তালিম নিয়েছি কয়েক মাস। আমি যেন পরিপূণগানের শিল্পী হয়ে উঠি সে জন্য মায়ের আপ্রাণ চেষ্টা ছিলো।খশবুন বিন্দু গান গাওয়ার পাশাপাশি চমৎকার গান লিখতেও পারেন। এ প্রসঙ্গে বিন্দু বলেন, গান লেখার বিষয়টি একেবারেই ব্যক্তিগত জিদের বশে। কারণ অন্য শিল্পীদের গান কভার করতে করতে একসময় মনে হলো এ থেকে তো আমার নিজস্বতা তৈরি হবে না। আমাকে মৌলিক গানও গাইতে হবে। তখন বাবার পরিচিত কবি বা আমার পরিচিত কয়েকজনের কাছে কিছু সুন্দর কথামালার গান চেয়েছি। আমার পরিচিতরা কেউ কেউ দিয়েছেন, কিন্তু খুব একটা পছন্দ হয়নি। বাবার বন্ধুরা তো গুরুজন তাদের কাছে জোর করতে পারি না।যেহেতু ছোটবেলা থেকেই লেখালেখির অভ্যাস আছে তাই এমন অবস্থায় চিন্তা করলাম, যেমন কথার গান আমি গাইতে চাই তা লেখা কি খুব কঠিন কিছু? এমন প্রশ্ন নিজেকেই করে খাতা-কলম নিয়ে বসে গুনগুন করতে করতে লিখলামÑ সুখের তরী, আজ হাওয়ায় হাওয়ায়সহ বেশ ক’টি গান, শান্ত পথিকের লেখা ‘আঁধার কালো রাত’ শিরোনামের গানের সুরারোপ করেছি আমি। সবচেয়ে মজার ব্যাপার আমার লেখা গানগুলোর সুরও নিজে করেছি। গান রেকর্ডিং সম্পন্ন হলো এবার মিউজিক ভিডিওতেও মডেল হলাম নিজেই।এখানে বিন্দুর সরল স্বীকারোক্তি, আর এসব কিছুর মূলে গান তৈরির খচর বাচানো। যেহেতু আমার গান নিজের চ্যানেলেই প্রচার করবো তাই খরচ যতটা কমিয়ে করা যায় ততই ভালো। আমার একটা ভাই-বন্ধুর গ্রæপ আছে গান রেডি হলেই ওদেরকে বলি আর ক্যামেরা নিয়ে বেরিয়ে পড়ি। ওরাই এডিটিং করে দেয় তবে কম খরচে হলেও লোকেশান আর ভিডিও কোয়ালিটি সুন্দর করে ওরা। এরপর খুশবুন বিন্দু চ্যানেলে আপলোড। লেবেল কোম্পানীকে গান দিলে তারা খরচের টাকাও দিতে চায় না। অথচ তারা আমার মতো তরুণ শিল্পীদের গানেও কম বেশি ব্যবসা করেন। যেহেতু আমার অনেক টাকাপয়সা নাই তাই অঢেল খরচ করে মিউজিক ভিডিও বানাতে পারবো না।আমি পেশাদারী গায়িকা না শখের বশে গান করি তাই অল্পেই তুষ্ট থাকার মতো মাইন্ড সেট হয়েছে আমার। বিন্দআরও বলেন, আমার লেখাসহ মৌলিক গানগুলো যারা শুনেছেন সবাই প্রসংশা করেছেন। সেহাঙ্গল বিপ্লবের পরিচালনায় ‘অচেনা মাইক্রোফোনের এই পর্বটি চ্যানেল আইয়ে প্রচার হবে আগামী ৮ ফেব্রæয়ারি শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৩০ মিনিটে।