ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার পর সেখানে কনস্যুলার সেবা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, নিরাপত্তার কারণে আপাতত আগরতলার বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে কনস্যুলার সেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে ওই মিশন থেকে বাংলাদেশের ভিসা সেবা বন্ধ থাকবে।
গতকাল সোমবার দুপুরে আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা চালায় সেখানকার উগ্রপন্থিরা। সেখানে হামলা, ভাঙচুর, ফ্ল্যাগস্ট্যান্ড ভেঙে বাংলাদেশের মর্যাদার প্রতীক জাতীয় পতাকা খুলে নিয়ে পোড়ানোর নিন্দনীয় ঘটনায় ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মাকে জরুরি ভিত্তিতে তলব করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এ ছাড়া উগ্রপন্থিদের এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে আগরতলাসহ ভারতে বাংলাদেশের সব মিশনের নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য আগেই দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নোট পাঠানো হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কঠোর প্রতিবাদের সঙ্গে ওই নোট পাঠানো হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
যদিও আগরতলা মিশনে হামলার ঘটনায় তাৎক্ষণিক দুঃখ প্রকাশ করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেই সঙ্গে ঘটনায় জড়িত সাতজনকে আটক এবং নির্লিপ্ততার জন্য পুলিশের চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে দেশটি।
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের ঘটনায় আগরতলায় ওই ক্ষোভ-বিক্ষোভের জন্ম। চিন্ময় দাসকে গ্রেফতার বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন হিসেবে দেখছে ভারতীয়রা। প্রতিবাদ জানাতে বাংলাদেশের সুতারকান্দি স্থলসীমান্ত দিয়ে উগ্র প্রতিবাদকারীরা বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশের চেষ্টা করার মধ্যেই আগরতলায় হামলার ঘটনা ঘটে।