সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনামঃ
আ.লীগকে কোনোভাবেই নির্বাচনে আসতে দেওয়া হবে না: আখতার হোসেন সাধারণ মানুষ সংস্কার কী বোঝে না: মির্জা ফখরুল স্বরাষ্ট্র সচিব হলেন নাসিমুল গণি তারেক রহমান দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করেন : আতিকুর রহমান রুমন রাউন্ড টেবিল, নতুন টক শো, বুধবার চ্যানেল আইতে প্রচারিত হবে দেশে সুষ্ঠু রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা ফিরিয়ে আনতে হবে: মুহাম্মদ শাহজাহান পতিত” আওয়ামী স্বৈরাচারী শাসন রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে : আমিনুল হক আগামী বছরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ঐকমত্য আমরা এমন সমাজ চাই যেখানে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ থাকবে না: মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন মতিঝিল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের পুনর্মিলনী আগামী ১৭ ও ১৮ জানুয়ারি

৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করতে হবে : জয়নুল আবদীন ফারুক

রিপোটার:
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৪৬ Time View

ঢাকা : ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপন এবং রাষ্ট্রীয় ছুটি ঘোষণা করতে হবে। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা যেভাবে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছেন সেভাবে গণতান্ত্রিক দিবসগুলোকেও দৃষ্টির আড়ালে নিয়ে গেছেন। আওয়ামী লীগ এমন একটি দল যারা সবসময় চক্রান্তের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে এবং তাদের হাতেই বারবার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তারাই গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিকল্পিতভাবে নস্যাৎ করেছে। তারা সবসময় চায় সরকার পরিচালনার মাধ্যমে একটি বিশেষ দেশের পলিসি বাস্তবায়ন করতে। কিন্তু বারবার এদেশের মানুষ সর্বশক্তি দিয়ে তাদের চক্রান্তকে প্রতিহত করেছে। আপনারা জানেন ৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত কিভাবে ভারতের এজেন্টরা এদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে নস্যাৎ করার জন্য চক্রান্তে লিপ্ত ছিল। অবশেষে ৭ নভেম্বর এদেশের সিপাহী-জনতা সেই চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় এবং তাদের চক্রান্তকে ব্যর্থ করে দেয়। এ কারণে দিবসটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হয়ে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর পরিকল্পিতভাবে ঐতিহাসিক দিনগুলোকে জনগণের দৃষ্টির অন্তরালে নিয়ে যান। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আমাদের দাবি থাকবে তারা ৭ নভেম্বরকে পূর্বের মত রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এতে দেশের জনগণ যেমন আওয়ামী চক্রান্ত সম্পর্কে সচেতন হবে তেমনি দেশের গণতন্ত্র ও তাদের ভূমিকা সম্পর্কে অবগত থাকবে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ উন্মুক্ত গণতান্ত্রিক পরিষদ আয়োজিত ৭ নভেম্বর মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে সরকারি ছুটি পুনর্বহালের দাবিতে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক চীফ হুইপ জয়নুল আবদীন ফারুক এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ উন্মুক্ত গণতান্ত্রিক পরিষদের সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা মো. রমীজ উদ্দিন রুমি’র সভাপতিত্বে আরাফাত রহমান আবির এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন এনডিপির মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা,ভিপি ইব্রাহীম, এড. মো. রবিউল ইসলাম রবি, এম. জাহাঙ্গীর আলম, যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস.এম মিজানুর রহমান, প্রজন্ম একাডেমির সভাপতি কালাম ফয়েজী, জাগ্রত বাংলাদেশ’র সভাপতি ও দৈনিক খোলাবাজার পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মো. জহিরুল ইসলাম কলিম, জাগ্রত বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন শাহীন, প্রতিবাদ’র সভাপতি মো. ইব্রাহীম হোসেন, বিএনপির নেত্রী আরিফা সুলতানা রুমা, মাওলানা আলমগীর হোসেন, প্রমুখ।

তিনি বর্তমান সরকারের কাছে দাবি জানান, আপনারা দ্রুত নির্বাচন দিন। দেশী-বিদেশী চক্রান্ত প্রতিহত করার জন্য একটি শক্তিশালী নির্বাচিত সরকারের খুব প্রয়োজন। আমরা কখনোই ২০১৪ সালের মতো ১৫৩ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করতে চাই না, অথবা ২০১৮ সালের নৈশকালীন নির্বাচনের মতো অনির্বাচিতভাবে জয়যুক্ত হতে চাই না। আমরা চাই ভোট বঞ্চিত জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের প্রিয় ব্যক্তিদের নির্বাচিত করুক এবং তাদের যোগ্য ব্যক্তিরা দক্ষতার সাথে দেশ পরিচালনা করুক।

তিনি আরো বলেন, ৭ নভেম্বরের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন এবং তিনি দ্রুত বাংলার মানুষকে বহুদলীয় গণতন্ত্র উপহার দেন। শহীদ জিয়া দেশের মানুষকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর শিক্ষা দেন। ৭ নভেম্বর পালনের মাধ্যমে প্রকৃত অর্থেই জিয়াকে স্মরণ করা হবে।

সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা তোমার পতন হয়েছে। তোমার বাবা বাংলাদেশকে বলতো ‘আমার দেশ’ আর তুমি বলতে ‘আমার বাবার দেশ’। অথচ একটা স্বাধীন দেশকে তোমরা আরেক দেশের তাবেদার বানানোর সকল চক্রান্ত সম্পন্ন করেছো। দেশের মানুষ তোমার চক্রান্ত বুঝে ফেলেছে। তোমাকে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস তুমি দিল্লীর একটি আশ্রয়কেন্দ্রে কোনরকমে দিন কাটাচ্ছো। তোমার অশুভ প্রেতাত্মারা এখনো বিভিন্ন সেক্টরে নিয়োজিত থেকে দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাওয়ার পায়তারা চালাচ্ছে। কিন্তু তাদের জানা উচিত দেশের সচেতন জনতা সোচ্চার আছে। তাদের চক্রান্ত কখনোই সফল হবে না।

বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমাতুল্লাহ বলেন, ৭ নভেম্বরের মতো ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ এবং ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করতে হবে। তাহলে দেশের মানুষ দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্তকারীদের জানতে পারবে এবং স্বৈরাচারীদের ব্যাপারে সতর্ক ও সোচ্চার থাকবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই জাতীয় আরো খবর

খুলনায় জমি বিক্রি হবে

খুলনা-যশোর বিশ্বরোডে মোস্তফার মোড়ের নিকটে টুটুল নগর আবাসিক এলাকায় এখনই বাড়ি করার উপযোগী ১০ শতক জমি বিক্রি হবে। ডিজিটাল খাজনা খারিজ করা। সম্পূর্ণ নিষ্কন্টক। বিশ্ব রোড থেকে ২০ ফিট রাস্তা, ভেতরে ১৫ ফিট রাস্তা। উচু জমি।

যোগাযোগ: মো. মহসিন হোসেন-০১৭১১৭৮৩৮৬৮

 

© All rights reserved © 2022 deshnews24.com
Theme Customized By Max Speed Ltd.