ঢাকা : বিগত আওয়ামী লীগ সরকার বিমা প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংসের অপচেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন সোনালী লাইফ ইন্সুইরেন্স উদ্যোক্তারা। তারা বলেছেন, প্রিমিয়াম নিয়মিত পরিশোধ করেও দেশের লাখ লাখ মানুষ সময় মত তাদের বিমাদাবি পায় না। অনেক প্রতিষ্ঠানই এটা করেছে। অথচ বিগত সরকারের আমলে ওই সকল প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হয়নি।
আজ রোববার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে সোনালী লাইফ ইন্সুইরেন্স আয়োজিত ‘লিডার্স ক্লাব অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান অনুষ্ঠানে এমন অভিযোগ করা হয়। অনুষ্ঠানে সোনালী লাইফ ইন্সুইরেন্সের উদ্যোক্তা পরিচালক মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস বলেন, বিগত সরকারের আমলে অনেক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মত সোনালী লাইফ ইন্সুইরেন্সকেও দখলের চেষ্টা করা হয়েছে। দখল প্রক্রিয়ায় কর্মীরা প্রায় চার মাস বেতন ভাতা বঞ্চিত ছিলেন। সরকার পতনের পর সোনালী লাইফ ইন্সুইরেন্স ধ্বংসের প্রক্রিয়া এড়ানো গেছে। তিনি আরো বলেন, আমরা বিপর্যস্ত সময় পার করেছি। তারপরও ৩০ হাজার কর্মকর্তা নিরলসভাবে কাজ করেছেন। সততা ও নির্ভীক সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন।
অতীতের সোনালী লাইফ ইন্সুইরেন্স কোনো বিমা দাবি পুরণে ব্যর্থ হয়নি উল্লেখ্য করে প্রতিষ্ঠানটির স্বতন্ত্র পরিচালক কাজী মনিরুজ্জামান বলেন, আগামী দিনেও সোনালী লাইফ ইন্সুইরেন্স তার সুনাম ধরে রাখবে। আপনাদের কর্ম, আপনাদের প্রচেষ্টায় আজকের সোনালী লাইফের এই অবস্থান। আমরা দুর্যোগ দেশ। ঘূর্ণিঝড়-বন্যা প্রতিনিয়ত আমাদের মোকাবেলা করতে হয়। ভাঙ্গা গড়ার মধ্য দিয়ে আবার নতুন করে ঘুরে দাড়াতে হয়েছে। সোনালী ইন্সুরেন্স সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। আমরা গত ৯ মাসে যে কাজ করতে পারেনি, আগামী ৩ মাসে সবাই মিলে তা করতে চাই।
অতীতে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (ইডরা) নির্বিকার থেকেছে বলেও অভিযোগ করেন প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ কর্মকর্তারা। তারা বলেন, মালিকানা সংকট কাটিয়ে আবারো ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করছে সোনালী লাইফ ইন্সুইরেন্স। অতীতের সব ভুলবোঝাবুঝি থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন করে ঘুরে দাড়াতে হবে। আর্থিক খাত লুটেরাদের যেন কোনো ছাড় না দেওয়া হয় সেই দাবিও জানান তারা।
অনুষ্ঠানে জানানানো হয়, প্রতিষ্ঠানটির কর্মীদের উৎসাহিত করতে সেরা কর্মীদের মধ্যে লিডারস ক্লাব অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। এবছর মোট এক হাজার ২৪৭ জনকে বিভিন্ন বিভাগে লিডার্স আওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে সারাদেশ থেকে দেড় সহস্রাধিক প্রতিনিধি অংশ নেন।