বিএনপি মহাসচিবপর সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনারের বৈঠক অনুষ্ঠিত
ঢাকা : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার নারদিয়া সিম্পসন। এতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন, নির্বাচনের জন্য কতো সময় লাগতে পারে এবং নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের বিষয়েও আলোচনা হয়।
বুধবার দলের চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বৈঠকে বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটি সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে ডিপুটি হেড অব মিশন ক্লিনটন পোবকে ও প্রথম সচিব লারা অ্যাডামস উপস্থিত ছিলেন।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে কবে নির্বাচন হবে, নির্বাচনের জন্য কতো সময় লাগতে পারে- তা জানতে চেয়েছে। নির্বাচনের আয়োজনের জন্য কী কী পরিবর্তন প্রয়োজন তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। মূলত সার্বিকভাবে আলোচনা শেষে যত তাড়াতাড়ি নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে- সেটা নিয়েও আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
নির্বাচন নিয়ে কোনো নির্দিষ্ট সময়ের কথা বলেছেন কি না এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, আমরা তো যৌক্তিক সময়ের কথা বলেছি। যৌক্তিক সময়ের পরিধি যারা স্টেকহোল্ডার আছে তারা বিবেচনা করবে। আমরা একটা সময় বেঁধে দিয়ে তাদের উপর চাপ সৃষ্টি করতে চাই না। আমরা চাই সরকার সফলভাবে তাদের কাজগুলো করুক। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচন প্রক্রিয়ার কাজ শুরু করুক। আমরা নিশ্চিত তারা সে কাজটি দ্রুত করবে। এ ব্যাপারে আমরা সরকারকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছি।
খসরু বলেন, অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে তারা জানতে চেয়েছেন যে, শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিএনপি কি ভাবছে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একমাস কেমন গেল। এসময়ে আমাদের দলের কী প্রত্যাশা ও অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে দু’দেশের মানুষের ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই অঞ্চলের জিও পলিটিক্স ও রোহিঙ্গা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আর দু’দেশের শিক্ষা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় আমাদের অনেক ছাত্র আছে, তাদের শিক্ষা নিয়ে তারা আরও কি ভূমিকা রাখতে পারে- তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।