‘বর্তমান শাসনকালে নারীর প্রতি সহিংসতা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে’ মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,বর্তমান দুঃসময়ে নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার হচ্ছে অত্যুগ্র মাত্রায়।
বিশ্ব নারী দিবস উপলক্ষে এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল নারীর সুখী সমৃদ্ধশালী ও সম্মানজনক জীবন কামনা করে তাদেরকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, ‘‘আন্তর্জাতিক নারী দিবসের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। দিবসটি পালন করার মূল উদ্দেশ্য হলো বৈষম্য কমানো ও তাদের সম্মান জানানো। অর্ধেকেরও বেশি নারী অধ্যুষিত বাংলাদেশের নারীরা সবসময়ই থেকেছে অবহেলিত। সমাজে তারা যেন কখনোও বৈষম্যের শিকার না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা।”
‘‘ নারী সমাজের সার্বিক উন্নয়নে সকলকে আন্তরিকভাবে কাজ করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। এবারের আন্তর্জাতিক নারী দিবসের মূল থীম ‘অন্তর্ভুক্তি অনুপ্রাণিত করুন’ এর সফলতা কামনা করছি।”
জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার শাসনামলে বাংলাদেশে নারীদের কল্যাণে নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘‘ আমাদের দেশের নারীদের কল্যাণে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রশংসনীয় উদ্যোগে নারীরা আজ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হয়েছে। দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে নারীদের সমতায়নে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়নে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণের কারনেই বাংলাদেশে পিছিয়ে থাকা নারীরা নিজেদেরকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে অনেকটাই সক্ষম হয়েছে। এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে নারীরা দেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবে বলে আমরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি।”
দলের চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ওপর সরকারের নিপীড়ন-নির্যাতনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘‘তিনি প্রতিহিংসার শিকার হয়ে বন্দী। নারী হলেও তার ওপর চালানো হচ্ছে বন্য বিচারের জুলুম। এই নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে হবে।”